আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে পদ্মা সেতু দিয়ে স্বস্তিতে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষ। এদিকে স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে ২০ দিনে পদ্মা সেতু দিয়ে পাড়ি দিয়েছে চার লাখ ৫০ হাজার ৩১২ যানবাহন। এতে আদায় হয়েছে ৫২ কোটি ৫৫ লাখ ৩৫ হাজার ৬৫০ টাকা। অর্থাৎ ২০ দিনেই সেতুতে টোল আদায় অর্ধশত কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, প্রথম ২০ দিনে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে সেতু পাড়ি দিয়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার ৪১৬ যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ২৬ কোটি ৮১ লাখ ৫৯ হাজার ২৫০ টাকা।
অন্যদিকে জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পাড়ি দিয়েছে দুই লাখ ১৯ হাজার ৮৯৬ যানবাহন। এতে আদায় হয়েছে ২৫ কোটি ৭৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫০ টাকা।
কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীরা জানান, পদ্মা সেতুর কারনে কোন রকম ভোগান্তি ছাড়াই সেতু দিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছি। ঘণ্টার পর ঘণ্টার ভোগান্তি এখন ৬ মিনিটে শেষ। এমন প্রশান্তি নিয়ে প্রতিদিন পদ্মা সেতু হয়ে উত্তাল পদ্মা পারি দিচ্ছে হাজারো মানুষ। এদিকে সময় এবং অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি ফেরি ঘাটের নানা ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়ে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন যাত্রীরা।
মাওয়া টোল প্লাজায় দায়িত্বে থাকা পদ্মা সেতুর সাইট অফিস নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মাহমুদুর রহমান জানান, ঈদের সময় চাপ ছিল, তবে সে চাপ আমরা সফলভাবে সামলাতে পেরেছি। এখন যানবাহন পারাপার স্বাভাবিক সময়ের মতো রয়েছে। কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন টোল আদায়ে আরও আধুনিক সিস্টেম ইন্সটলেশন করবে ডিসেম্বরের মধ্যে। তখন সক্ষমতা আরও বাড়বে ও দ্রুত টোল আদায় হবে। এখন ঘণ্টায় এক হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ গাড়ির টোল আদায় করা যাচ্ছে, তখন আরও বেশি হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন মাওয়া প্রান্তে ক্যাশ ট্রানজেকশনে টোল আদায় হচ্ছে, পাশাপাশি একটি হাইব্রিড লেনে ক্যাশ ও ইলেকট্রনিক ট্রানজেকশনের লেন রয়েছে। চূড়ান্ত পর্যায়ে টোল প্লাজায় একটি ইটিসি লেনও থাকবে। এছাড়া ইমারজেন্সি লেন থাকবে।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন