সিলেট-ঢাকা রেলপথে আন্তনগর ট্রেনসমূহে টিকিট সংকটে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ঈদের ছুটিতে আসা যাত্রীরা। অনলাইন ও কাউন্টারে নেই চাহিদামত কোন ট্রেনের টিকিট। বাধ্য হয়ে অনেক যাত্রী সড়কপথে যাত্রা শুরু করলেও অধিকাংশ যাত্রী বসে আছেন টিকিট পেলে ট্রেনে ভ্রমণ করবেন বলে। সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত সকল রেলওয়ে স্টেশনে খোঁজ নিয়ে টিকিট সংকটের এ চিত্র পাওয়া যায়।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগরে ঢাকায় বসবাসকারী ব্যবসায়ী কুতুব মিয়া বলেন, তিনি রাতে আন্তনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে গত ৮ জুলাই পরিবার সদস্যদের নিয়ে শমশেরনগর গ্রামের বাড়িতে আসেন। এখানে আসার পর টানা ৩ দিন রেলওয়ে স্টেশনে এমনকি শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, মাইজগাঁও ও সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে খোঁজ নিয়ে ঢাকার পথের কোন আন্তনগর ট্রেনর টিকিট পাননি। পরে বাধ্য হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রাইভেটকার ভাড়া করে তিনি পরিবার সদস্যদের নিয়ে ঢাকা ফিরেছেন। ট্রেন যাত্রী ছিদ্দিকুর রহমান সাদেক ও নাদিয়া সুলতানা বলেন, এমনিতে অনলাইনে টিকিট কাটার সুযোগ থাকলেও ঈদের সময় অনলাইনে কোন টিকিট কাটা যায়নি। অনলাইনে আগামী ১৮ জুলাই পর্যন্ত ঢাকার পথের কোন আন্তনগর ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায়নি। কিছু টিকিট কাউন্টারে আছে দেখালেও সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টারে গিয়ে টিকিট পাওয়া যায়নি।
নিয়মিত ট্রেন যাত্রী আব্দুস শুকুর বলেন, আগে একটি কোম্পানি অনলাইনে টিকিট বিক্রি করত। তখন মোটামোটি টিকিট পাওয়া যেত। এখন সহজ নামক একটি কোম্পানি ট্রেনের টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পেয়েছে। এখন আর আগের মত সহজে অনলাইনে কোন টিকিট পাওয়া যায় না।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কবির আহমেদ বলেন, তার স্টেশনে আন্তনগর জয়ন্তিকা,উপবন ও পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি আছে। আগামী ১৮ জুলাই পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোন আসন খালি নেই। তার স্টেশনে আসন সংখ্যা খুবই কম বলে সব টিকিট নির্ধারিত সময়ে বিক্রি হয়ে গেছে। শমশেরনগর স্টেশন মাস্টার মো. জামাল উদ্দীন বলেন, শমশেরনগর থেকে ঢাকার পথে আন্তনগর উপবন ও কালনি এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ আছে। তবে এখানে চাহিদার তুলনায় আসন সংখ্যা খুবই কম।
তিনি আরও বলেন, চাহিদার তুলনায় আসন কম থাকায় যাত্রীদের টিকিট দিতে না পারায় অনেক যাত্রী উল্টো তাদের (মাস্টারদের) ওপর চড়াও হয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন