পবিত্র ঈদুল আজহার নির্ধারিত ছুটি শেষে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে কর্মমুখী মানুষ ও মোটরসাইকেলর চাপ রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কর্মমুখী মানুষ ও মোটরযানের চাপ রয়েছে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটগুলোতে। তারা পরিবহন, মাহিদ্রা, অটোরিকশা, পিকাপে করে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে এসে অঘোষিত প্রতিযোগিতা করে ফেরিতে উঠছে এবং ফেরিতে করে নদী পার হচ্ছে কর্মমুখী হাজার হাজার মানুষ। বিশেষ করে এই প্রচন্ড গরমে মহিলা ও শিশুদের চরম ভৌগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ঢাকামুখী যাত্রী সুজন বলেন, বাসের ভাড়া একটু বেশি তারপরও বাসের টিকেট না পাওয়ায়। আমরা ৫ জনে একটি মাহিদ্রা রিজাব করেন ঝিনাইদহ থেকে ঘাটে চলে এলাম এখন নদী পার হয়ে ওপার গিয়ে গাড়িতে উঠে ঢাকা চলে যাবও। আজই ঢাকায় যেতে হবে কাল সকাল আমার কাজে ডুকতে হবে তা না হলে চাকরি থাকবে না।
ঢাকামুখী যাত্রী শাপলা বলেন, আমি একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করি। ঈদের ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় আজ সকালে কুষ্টিয়া থেকে বাসে করে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে ফেরিতে উঠেছি। নদী পার হয়ে পাটুরিয়া থেকে বাসে করে ঢাকা যেতে হবে। আজই আমার ঢাকায় যেতে হবে কাল সকালে কাজে ঢুকতে হবে। তাই এই গরমে কষ্ট হলেও যেতে হবে।
বিআইডাব্লিউটিসির ঘাট শাখার সহকারী ম্যানেজার খোরশেদ আলম বলেন, ঈদুল আজহার নির্ধারিত ছুটি শেষে কর্মস্থলমুখী মানুষও মোটরসাইকেলর চাপ বেশি রয়েছে ফেরি ঘাটগুলোতে। এই নৌরুটে বড় ৯টি ফেরি ও ছোট ৭ ফেরি মোট ১৬ টি ফেরি চলাচল করছে। বরকত আলী ফেরি মেরামতের জন্য পাটুরিয়া ঘাটে মধুমতি ডর্কইয়াডে রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন