শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বন্দরে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

নারায়ণগঞ্জ জেল সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২২, ১১:১৯ পিএম

বন্দরে শেখ জামাল স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের চেষ্টার সংবাদ সংগ্রহ করে ফেরার পথে অপহরণকারীরা মানবজমিন পত্রিকার বন্দর প্রতিনিধি সাংবাদিক নুরুজ্জামান মোল্লাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। কামতাল তদন্তকেন্দ্র পুলিশ আহত সাংবাদিক নুরুজ্জামানকে উদ্ধার করে স্থানীয় মদনপুর আরকে হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে সেখানে তার অবস্থা অবনতি ঘটতে থাকলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। রোববার (১৭ জুলাই) বেলা ১১টায় বন্দর উপজেলার হালুয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

সাংবাদিক নূরজ্জামানের অবস্থা আশংকাজনক বলে তার পরিবার সূত্রে এ কথা জানা গেছে। পুলিশ অপহরণের চেষ্টায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাস আটকসহ চালক শফিক (৪০) কে গ্রেপ্তার করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ ব্যাপারে কামতাল তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মাহবুব আলম জানান, কাইয়ূম, বাবু, শরীফ, জাকের, শাহজাহান সাহাজ সহ ৭/৮জনের একটি দল কমতাল হালুয়াপাড়া এলাকার মজিবর মিয়ার মেয়ে শেখ জামাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহমুদা (১৫) কোচিং করে বাড়ি ফেরার পথে সকাল ১০টায় কাইয়ূমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ছাত্রীকে জোরপূবর্ক গাড়ি তুলে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের বাধার মুখে ছাত্রী অপহরণকারীদের হাত থেকে রক্ষা পায়। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে কামতাল তদন্তকেন্দ্র পুলিশ ও বন্দর প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি সাংবাদিক নুরুজ্জামান ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ তাৎক্ষনিক অপহরনে ব্যবহৃত গাড়ি জব্দ ও চালককে আটক করে। ওই সময় সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। পরে সাংবাদিক নুরুজ্জামান সংবাদ সংগ্রহ করে তার নিজ মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণকারী সন্ত্রাসীরা তাকে রাস্তায় একা পেয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। কিছুক্ষণ পরে একই পথে পুলিশের গাড়ি চলে আসায় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মুমুর্ষ অবস্থায় সাংবাদিক নুরুজ্জামানকে উদ্ধার করে প্রথমে মদনপুর আরকে হাসপাতালে পাঠায়। তার অবস্থায়র বেগতি দেখে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যপারে সাংবাদিক নুরুজ্জামানের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার স্ত্রী বলেন, তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে ও ইট দিয়ে আঘাতের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বর্তমানে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদিকে এ সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, কোন অবস্থাতেই সন্ত্রাসীদের ছাড় দেয়া হবে না। পুলিশ ইতিমধ্যে মাঠে নেমে গেছে অল্প সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হবে। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পিতা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন