সিলেট অঞ্চলে ভয়াল বন্যা মোকাবিলার মধ্যে তীব্র তাপদাহ, হঠাৎ করে ভারী বর্ষণ ও পানিবদ্ধতার জন্য বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। সিলেটে সাম্প্রতিক তীব্র তাপদাহ, অতিবৃষ্টির কারণে নগরীতে সাময়িক পানিবদ্ধতা ও দুর্ভোগ এবং সিসিকের উন্নয়ন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। গতকাল দুপুরে নগর ভবনের সভা কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট প্রাকৃতিক ও অতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সিসিকের করনীয় তুলে ধরা হয়। সিসিক মেয়র লিখিত বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বা ক্লাইমেট চেঞ্জ বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা। আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে প্রকটভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে এই সমস্যা। সিলেটে অতিবৃষ্টি, তীব্র তাপদাহ, শীতকালে গরম অনুভূত হওয়া কিংবা তীব্র কুয়াশা তথা আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব বিশেষজ্ঞদের জন্য উদ্বেগের। ভয়াল বন্যার পর একটানা তাপদাহ নতুন করে সঙ্কটে ফেলে সকলকে। এর মধ্যে গত শনিবার দিনে অস্বাভাবিক তাপদাহের পর রাতে অল্প সময়ে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টির কারণে আকস্মিক জল-দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে। সিসিকের উন্নয়ন প্রকল্প বিষয়ে সিসিক মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী সিলেটের উন্নয়নে করোনা পূর্ববর্তী সময়ে ১২শ’ ২৮ কোটি টাকা শর্ত সাপেক্ষে বরাদ্দ অনুমোদন দিয়েছিলেন। কিন্তু এই পরিমাণ অর্থ পেতে বিধি অনুযায়ী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে নিজস্ব আয় থেকে ২০ শতাংশ অর্থ্যাৎ ২৪৫ কোটি যুক্ত করতে হবে।
সিসিক মেয়র যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহবান জানান। সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক আবহাওয়ার পর্যবেক্ষণ ও পূর্বাভাস নিয়ে বক্তব্য রাখেন, সিলেট আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিসিকের বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকেরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন