মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সাটুরিয়ায় অন্তঃসত্তা স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

 মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় ৫ মাসের অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে সাটুরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। গত মঙ্গলবার রাতে সাটুরিয়ার বরাইদ ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মো. জব্বার আলীর মেয়ে মালেকা আক্তারের সাথে একই গ্রামের শহীদের ছেলে মো. ফেরদৌস হোসেনের ৭ বছর আগে বিবাহ হয়। বিয়ের পরে ফেরদৌস পার্শ্ববর্তী তিল্লীর চর এলাকার পিংকি নামে এক মেয়ের সাথে পরকীয়া করে বিয়ে করে। দ্বিতীয় বিয়ে করার পর ফেরদৌস প্রথম স্ত্রী মালেকাকে মারধর করতো। একপর্যায়ে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয় সে। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংশা করে প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী পিংকিকে তালাক দেওয়ার আশ্বাসে প্রথম স্ত্রীকে পুনরায় বিয়ে করে সে।
ফেরদৌস সাড়ে ৪ লাখ টাকা নেওয়ার পর দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক না দেওয়ায় এ নিয়ে প্রথম স্ত্রী মালেকার সাথে প্রতিনিয়ত ঝগড়া হয় তাদের মধ্যে। গত মঙ্গলবার রাতে মালেকা ও ফেরদৌসের সাথে পরকীয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে ৫ মাসের অন্তঃসত্তা মালেকাকে পেটের মধ্যে লাথি ও গালায় মুখে আঘাত করে। একপর্যায়ে মালেকা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আক্কাছ আলীকে ডেকে আনে স্বামী। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে মালেকার স্বামী তার লাশ ফেলেই রাতেই পালিয়ে যায়। নিহতের বাবা মো. জব্বার আলী জানায়, তার মেয়ের জামাই তিল্লীর চর এলাকার পিংকি নামে এক মেয়ের সাথে পরকীয়া ছিল। এ পরকীয়া নিয়ে মেয়ে মালেকার সাথে জামাই ফেরদৌসের সাথে প্রতিদিনই ঝগড়া হতো। পিংকিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা যৌতুক নেয় জামাই। পিংকির পরামর্শে ফেরদৌস তার মেয়েকে হত্যা করেছে বলে দাবী করে সে।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল আলম জানান, গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তর জন্য মানিকগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের মা জীবন নেছা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন