শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

পঞ্চগড়ে ‘শেখ হাসিনার জান্নাত’

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০২২, ২:২৭ পিএম

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পোস্টার থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি কেটে তা নিজের পড়ার টেবিলে সাজিয়ে রেখেছে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুন নাহার জান্নাত। এলাকায় তাকে সবাই ডাকেন ‘শেখ হাসিনার জান্নাত’ নামে। গৃহ ও ভূমিহীন জান্নাতের পরিবারও অন্যদের মতো আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর পেয়েছেন। সেই ঘর পেয়ে সে প্রধানমন্ত্রীকে জানালো, ‘আপনাকে অনেক ভালোবাসি।’

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) আওয়ামী লীগ সরকারের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় দফায় আরও ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। ভার্চুয়ালি পাঁচটি স্পটে যুক্ত ছিলেন তিনি। এর একটি পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর উপজেলাধীন মাহানপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প।

এখানের একজন উপকার ভোগী রফিকুল ইসলাম। তিনি পেশায় ভ্যানচালক। তারই মেয়ে জান্নাত। এলাকার লোকে তাকে ডাকেন ‘শেখ হাসিনার জান্নাত’ হিসেবে।

জান্নাত ইউনিয়ন পরিষদের পোস্টার থেকে কেটে পড়ার টেবিলে টানিয়ে রাখে। উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন জান্নাতের সঙ্গেও। এ সময় জান্নাত প্রধানমন্ত্রীকে বলে, ‘আমি আপনাকে অনেক ভালোবাসি। আপনার উপহার পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি। আপনার ছবি আমার কাছে আছে। আমি সকালে উঠেই আপনার ছবি পরিস্কার করি। তারপর পড়তে বসি।’

নিজের মা-বাবার কষ্টের কথা জানিয়ে জান্নাত বলে, ‘আমার অনেক স্বপ্ন পাকা ঘরে থাকবো। আপনি সেই স্বপ্ন আমার পূরণ করেছেন। এখন ঘরে বিদ্যুৎ আছে, লাইট আছে। খুব শান্তিতে পড়াশোনা করছি।’

ভবিষ্যতে নিজের লক্ষ্যের কথাও প্রধানমন্ত্রীকে জানায় সে।

‘আমি বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই। গরীব মানুষের সেবা করে তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। আপনি আমার জন্য দোয়া করবেন।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে পঞ্চগড়ে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে জান্নাত বলে, ‘টিভিতে দেখি আপনাকে। সামনে কখনো দেখি নাই। আপনি পঞ্চগড়ে আসবেন।’

প্রধানমন্ত্রী জান্নাতের কথা মন দিয়ে শোনেন। তিনি বলেন, ‘তুমি সোনার বাংলার সোনার মেয়ে। তোমার মতো সবাই আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে চলবে এটা প্রত্যাশা করি।’

একই জেলার আরেকজন সুবিধাভোগী খতিবুর রহমান। সব হারানো খতিবুরের নিজের জমি বলতে কিছু ছিলো না। ৭ বছর ঢাকায় রিকশা চালানো খতিবুর কখনো গ্রামে আসতে পারতো না। কারণ তার কোনো নিজের জমিও নেই। ঈদে যখন সন্তানরা বাড়ি যাওয়ার কথা বলতো কোনো উত্তর দিতে পারতো না, মুখ বুঝে কান্না লুকাতো খতিবুর।

‘আমার তিন সন্তান। ছোট একটা মেয়ে আছে, ১২ বছর বয়স। অনেক সময় প্রশ্ন করতো, বাবা আমরা কি বাড়ি যেতে পারবো না? আমি বলতাম আল্লাহ যদি কখনো চান পঞ্চগড় যেতে পারবো। আমি চিন্তা করতাম একটি টিনের ঘরও যদি পাইতাম তাহলে নিজের একটা ঘর থাকতো। আজকে আমি একটি নিজের ঘর পেয়েছি।”

এবারের কোরবানি ঈদ করতে পঞ্চগড়ে আসার কথা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

‘কোরবানির ঈদে যখন পঞ্চগড়ে ঈদ করতে গাড়িতে উঠি মেয়েটা প্রশ্ন করে বাবা আমরা কোথায় যাচ্ছি?...এক মা জন্ম দিলো আরেক মা দিলো ঘর।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন