বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য

আঁচিল : ভাইরাসজনিত রোগ

| প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

আঁচিল হচ্ছে ছোট রুক্ষ প্রবৃদ্ধি, যা চামড়ার উপর অনেকটা গুঁটি বা শক্ত ফোস্কার মতো দেখা যায়। একে ইংরেজিতে ভেরুকা বলা হয়। এটি সাধারণত তরুন বয়সীদের মধ্যেই বেশি দেখা যায় তবে বয়স্কদের মধ্যে দেখা দেয়। এটি একটি ছোঁয়াছে রোগ। প্রথমে একটি দিয়ে শুরু হলেও ক্রমান্বয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তবে শুরুতেই এর চিকিৎসা করানো ভালো।

কারণঃ আঁচিল ভাইরাসঘটিত ছোঁয়াচে রোগ। এর জন্য হিউম্যান প্যাপিলোমা নামক ভাইরাসটি দায়ী।
আঁচিলে আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে আসলে অপর জনের মাঝে ছড়াতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস, নখের আঁচড়ে ভাইরাসটি ছড়ায়। ত্বকের পলিপ, ক্যান্সার, স্কিন ডিজঅর্ডার, ব্রণ ইত্যাদির কারণেও আঁচিল হতে পারে।

প্রকারঃ আঁচিল বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। শরীরের কোন অংশে আঁচিল আছে, আঁচিলের গঠন ও আকৃতির ওপর ভিত্তি করে নিম্নে কয়েক প্রকার আঁচিলের বর্ণনা দেওয়া হলোঃ- সাধারণ আঁিচলঃ এগুলো সাধারণত হাত, আঙ্গুলগুলোতে দেখা যায়। নখের কোন, নখের নীচে, হাঁটু, কনুই, অস্থিসন্ধিতে হতে দেখা যায়।

জেনিটাল আঁচিলঃ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি যৌনাঙ্গে, যোনিতে ও মলদ্বারে হয়ে থাকে। এটি দেখতে অনেকটা ফুলকপি, খসখসে চামড়ার মতো হতে দেয়া যায়।

ফ্ল্যাট আঁচিলঃ আকারে ছোট, ত্বক হতে খুবই সামান্য উঁচুতে হতে দেখা যায়। এরা সংখ্যায় অনেকগুলো হতে দেয়া যায়। মুখ, থুতনী, ঘাড়, কব্জিতে এই আঁচিল বেশি হয়।

প্ল্যান্টার আঁচিলঃ পায়ের পাতায় হতে দেখা যায় এবং তালুর অনেক গভীর হতে শুরু হয়। গেলাকার, তালুর বাইরের অংশ অস্বচ্ছ ও শক্ত। শরীরে এই আঁচিল হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যথা অনুভুত হয়।
ওরোফ্যারিঞ্জিাল আঁচিলঃ এগুলো বিভিন্ন প্রকারের হয়। এগুলো মুলত জিহ্বা এবং টনসিলের মতো মুখের পৃষ্ঠতলে হয়।

ডিজিটেট আঁচিলঃ এগুলো আঙুরের মতো দেখতে, যা ঠোঁট ও চোখের পাতার কাছে হয়ে থাকে।
ভেনেরিয়াল আঁচিলঃ অন্যান্য আঁচিলের মতো এরা শক্ত নয়। এরা নরম থলের মতো ঝুলে থাকে। এ ধরনের আঁিচল সাধারণত যৌন সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই মূলত এরা পায়ু, যৌনাঙ্গ বা এর আশেপাশে এলাকার হয়ে থাকে।

চিকিৎসাঃ আঁচিল অপসারণের জন্য বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি আছে। চিকিৎসক খাবার ঔষধের সাথে বিভিন্ন ক্রিম দিতে পারেন। এক্ষেত্রে অভিক্ত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের নিকট পরামর্শ মতে চিকিৎসা গ্রহণে ফল পাওয়া সম্ভব।

প্রতিরোধঃ
অনেকে আঁচিলের গোড়ার শক্ত করে চুল বেঁধে রাখেন, যা মোটেও ঠিক নয়।
আঁচিলে চুন বা কষ্টিক সোডা ব্যবহার করবেন না।
নখ দিয়ে আঁচড়াবেন না এবং বেশি ঘষাঘষি করবেন না।
ভাইরাসের হাত হতে বাঁচতে সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করবেন।
সুস্থ জীবনযাপন এবং সতর্কতা আঁচিল প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

মোঃ হুমায়ুন কবীর
কনসালট্যান্ট, রেনেসাঁ হোমিও মেডিকেয়ার
২৫/৩, নবাব কাটারা, নিমতলী, চাঁনখারপুল,ঢাকা-১০০০।
মোবাইলঃ ০১৭১৭৪৬১৪৫০,০১৯১২৭৯২৮৯৪

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন