শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ভালুকায় বোমা ফাটিয়ে স্বর্ণালঙ্কার লুট : মালিক গুলিবিদ্ধ

ভালুকা (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

ময়মনসিংহের ভালুকায় প্রাইভেটকারে করে এসে বোমা ফাটিয়ে ফিল্মিস্টাইলে স্বর্ণের দোকান ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দোকান মালিককে গুলিবিদ্ধ করে মারাত্মক আহত অবস্থায় ফেলে রেখে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দল।
দোকান মালিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় ৪/৫ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ সশস্ত্র ডাকাত দল একটি প্রাইভেটকারে করে এসে প্রদীপ জুয়েলার্সের দোকান মালিক অধীর কর্মকার ও তার ভাই সুধীর কর্মকারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং স্বর্ণ লুটের চেষ্টা চালায়। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে দোকান মালিক অধীর কর্মকারের মাথায় আঘাত ও উরুতে গুলি করে ফেলে দেয়। পরে দোকান থেকে বিপুল পরিমান স্বর্ণ লুট করে বেশ কয়েকটি বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ফিল্মিস্টাইলে গফরগাঁওয়ের দিকে চলে যায়। এ সময় বোমার স্প্রিন্টারের আঘাতে অজ্ঞাত এক পথচারী আহত হন। খোঁজ পেয়ে স্থানীয় লোকজন আহত দোকান মালিক অধীর কর্মকারকে উদ্ধার করে প্রথমে ভালুকা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী পাশের হার্ডওয়্যার দোকান মালিক শাহিন জানান, পর পর তিনটি বোমা বিস্ফোরণের কারণে বিকট শব্দে ও আশপাশের এলাকা ধোঁয়ায় অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় বিদ্যুৎ ছিলোনা। তবে দেখা গেছে, একটি প্রাইভেটকার থেকে নেমে ৫ জন লোক দোকানে ঢুকেছে। পরে গিয়ে দেখি দোকান মালিক রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে এবং দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ লুট করে নিয়ে গেছে।
আহত দোকান মালিক অধীর কর্মকারের ভাই সুধীর কর্মকার জানান, ডাকাত দল ঘরে ঢুকে প্রথমে আমার ও ভাইয়ের মাথায় আঘাত করে। পরে বাঁধা দিতে গেলে আমার ভাইয়ের উরুতে গুলি করে। এ সময় ডাকাত দল দোকান থেকে বিপুল পরিমান সোনা ও টাকা লুট করে নিয়ে গেছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ খবর পেয়ে, তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ভালুকা পৌর সদরে সন্ধ্যার সময়ে ব্যস্ততম এলাকায় এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক। ভালুকা জুয়েলার্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, ঘটনার পর থেকে সকল ব্যবসায়ী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলার সকল স্বর্ণের দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তাছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ঘটনাটির তদন্ত করছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন