করোনাভাইরাস পরিস্থিতি, ইউক্রেন সঙ্কট প্রভৃতি কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা মোকাবেলা করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম সমুন্নত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত সহায়তা চায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টি (এফবিসিসিআই)। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে লেখা এক চিঠিতে এ কথা জানায় এফবিসিসিআই। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ শ্রেণীকরণ সুবিধা, চলমান ঋণের ওপর আরোপিত অনাদায়ী সুদ ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধের সুবিধা, তলবী ঋণসমূহ ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ সুবিধা প্রভৃতি কোভিডকালীন অর্থনীতিকে পুনরজ্জীবিত ও ব্যবসা বাণিজ্যের গতিকে সমুন্নত রাখতে সহায়তা করেছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছে এফবিসিসিআই।
এছাড়া ঋণ শ্রেণীকরণ সুবিধা গ্রহণ করতে প্রদেয় কিস্তিসমূহের ন্যূনতম পরিমাণ পরিশোধের শর্ত শিথিল করে সিএমএসএমই ও কৃষি খাতের জন্য সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ এবং বৃহৎ শিল্পখাতের জন্য সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ নির্ধারনের জন্য আমরা ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়েছে বণিক সংস্থাটি।
সূত্র আরও জানায়, গ্রহীতাদের জন্য মেয়াদী, চলমান ও তলবী ঋণ সকল ক্ষেত্রেই গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ মেয়াদ ৮ বছর নির্ধারণের অনুরোধ জানিয়েছে এফবিসিসিআই। সেই সঙ্গে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ ও পুনর্গঠনেও ন্যূনতম ডাউন পেমেন্টের হার বৃহৎ ও ক্ষুদ্র সকলের জন্য একই হারে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
এছাড়া গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহণ করায় আব্দুর রউফ তালুকদারকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে এফবিসিসিআই। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ী সংগঠনটি দেশের রফতানি বাণিজ্য সচল রাখার স্বার্থে শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরী বাবদ সরকারী তহবিল থেকে বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, শিল্প ও সেবা খাতে চলতি মূলধন হিসেবে ঋণ প্রদান, প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট খাতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম, সিএমএসএমই খাতের জন্য বিশেষ ঋণ সুবিধাসহ কৃষি খাতে চলতি মূলধন সরবরাহ, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম ইত্যাদি অর্থনীতিকে সচল রাখতে অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে বলে উল্লেখ করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন