শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মেয়াদ শেষ হলেও সম্পন্ন হয়নি কাজ

রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

রাজবাড়ী পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধ (ফেজ-২) প্রতিরক্ষা, মেরামত, পুনর্বাসন, ড্রেজিং কাজে ধীরগতির কারণে কাজের মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হয়েছে। কাজের মেয়াদ শেষ হলেও সম্পন্ন না হওয়া ও কাজের মান নিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে রয়েছে চরম ক্ষোভ। তবে বিল পরিশোধ না করে আটকে রাখার দাবি পাউবোর।

রাজবাড়ী পাউবোর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩৭৬ কোটি ২৮ লাখ ১২ হাজার টাকা ব্যায়ে রাজবাড়ী শহর রক্ষা বাঁধ (ফেজ-২), ৭ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা কাজ। কাজের মধ্যে সাড়ে ৪ কিলোমিটার নতুন স্থায়ী প্রতিরক্ষা কাজ, আড়াই কিলোমিটার মেরামত কাজ, ১.৬ কিলোমিটার পুনর্বাসন কাজ ও ৮.৩ কিলোমিটার ড্রেজিং কাজ। ড্রেজিংয়ে ৭৫ কোটি, প্রতিরক্ষা কাজে ৩ শত কোটি, ড্রেজিং খাতের সাশ্রয়কৃত অর্থ দিয়ে ৯টি প্যাকেজের ৯৫ কোটি টাকা ব্যায়ে কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ৯টি প্যাকেজের কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঠিকাদার তায়জুল ইসলাম সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ব্যায়ে ২৫০ মিটার, ১৩ কোটি টাকা ব্যায়ে ২০০ মিটার ফরিদপুর জান্নাত কনস্ট্রাকশনকে, ৩০ কোটি টাকা ব্যায়ে ৩টি প্যাকেজ ৬০০ মিটার গোলাম রব্বানী কনস্ট্রাকশন, ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে ১৫০ মিটার সেহা শেখ ইমদাদুল হক এমএন কনস্ট্রাকশন, ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে ১৫০ মিটার শামীমুর রহমান, ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে ২০০ মিটার টেব ব্রে, ১৫০ মিটার ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আমিন এন্ড কোং কাজ করছেন।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাব ঠিকাদাররা কাজ করছেন। ব্লক তৈরি, ডাম্পিং কাজে ব্যস্ত। সাদা বালি দেওয়া হচ্ছে। পাথরও লাল রঙের। পুরাতন ব্লক ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে শুধু জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। ব্লকের কাজ কবে হবে এ প্রশ্ন স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা বলেন, পদ্মা নদীতে যখন পানি বৃদ্ধি পায় ঠিকাদাররা এসে এখন তড়িঘড়ি করে কাজ শুরু করেন। প্রতি বছর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে আতঙ্কে থাকতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে কাজ করলে ভালো মতো কাজ করা যায়। কিন্তু পানি বৃদ্ধির সময় কাজ করার ফলে অনেক সময় আবার ভেঙে নদীগর্ভে চলে যায়। ড্রেজিংয়ের বালি নদীতেই ফেলানো হয়। ফলে কাজের কাজ কিছুই হয় না।
রাজবাড়ী পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরিফুর রহমান অঙ্কুর বলেন, ১৫ মার্চ থেকে কাজ শুরু হয়। গত ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। তবে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বিল আটকে দেওয়া হয়েছে। কাজটি সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে তদারকি করাসহ ট্যাক্সফোর্স সব সময় কার্যক্রম মনিটরিং করে। তবে কাজের মেয়াদ শেষ হলেও কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সময় বৃদ্ধির আবেদন করেনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন