শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামে লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে লাখো মানুষ

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০২২, ১২:০৮ এএম

এলাকাভিত্তিক এক ঘন্টা লোডশেডিং এর নির্দেশনা থাকলেও কুড়িগ্রামে কোথাও কোথাও ঘন্টা পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জেলাবাসী। এদিকে লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়েছে ব্যাটারি চালিত ফ্যান ও চার্জার লাইটের দোকানে। নি¤ড়ব আয়ের মান্ষু থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরা ভিড় করছে জেলার ইলেকট্রিক দোকানগুলোতে। তাছাড়াও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও রিকশা চালকরা পড়েছেন বিপাকে। লোডশেডিং এর কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে চার্জ করতে না পাড়ায় দৈনন্দিন আয় নিয়ে বিপাকে আছেন অনেকে।
জানা যায়, গতকাল জেলা শহরে রাত ৭টা ও রাত ১২টায় লোডশেডিং এর কবলে ছিল পৌরবাসী। ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল শহর ও গ্রামের পথ ঘাট। কোথাও নিভু নিভু আলো জ্বলছে। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষজন ঘামঝড়া শরীর নিয়ে বের হয়ে পড়েছে রাস্তার মোড়ে কিংবা খোলা উঠানে। ঘন্টার পর ঘন্টা গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ না থাকায় রোপা আমন মৌসুমে জমিতে সেচ দিতে পারছেন না কৃষকরা।
নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) অফিস সুত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা শহরে দৈনিক ৩০ হাজার গ্রহকের দৈনিক চাহিদা প্রায় ১২ মেগাওয়াট কিন্তু তার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ৬-৮ মেগাওয়াট।
অন্যদিকে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিস জানায়, পল্লী বিদুৎ সমিতির আওতায় কুড়িগ্রামের ৭টি উপজেলায় ৪ লাখ ৬৬ হাজার গ্রহকের দৈনিক চাহিদা ১২৯ মেগাওয়াট হলেও তার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৭৩ মেগওয়াট। এদিকে দিনের চাহিদা ৫৬ মেগাওয়াট। তার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ৩১ মেগাওয়াট। রাতের চাহিদা ৭৩ মেগাওয়াট, পাওয়া যাচ্ছে ৪২ মেগাওয়াট।
সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিলপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়া বলেন, প্রচুর গরম আমাদের এখানে। বিদ্যুৎ ঠিক মত না থাকায় রাতে ঘুমাতে পারছি না। সবচেয়ে বিপদে পড়েছি ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে। সবমিলিয়ে দেখা যাচ্ছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ৫-৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন