সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে মাকসুদুর রহমান জিমাম নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার বাসর রাতে পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়। সে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার আরফিননগর এলাকার মুজিবুর রহমানের পুত্র ও ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরির কর্মচারী।
জানা যায়, জিমাম কর্মচারীর চাকুরি করতো ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরীতে। এ সুবাধে ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের এক মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে তারা পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত বৃহস্পতিবার ভোরে প্রেমিকাকে তার বাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়ে যায় প্রেমিক মাকসুদুর রহমান জিমাম। ওইদিন সকাল ১০টার দিকে শান্তিগঞ্জের পাগলা বাজারে জনৈক এক ইমামের মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
পরে ডাবর এলাকায় দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরচর গ্রামের মৃত মোশাহিদ আলীর পুত্র নৌকার মাঝি আমির আলীর সাথে তাদের পরিচয় ঘটে। স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে না তুলে জিমাম তার নতুন স্ত্রীকে নিয়ে নৌকার ওই মাঝির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নৌকার মাঝি আমির আলীর প্রতিবেশি আকবর আলীর পুকুরে গোসল করতে যায় জিমাম। সাথে ছিল আমির আলীর পুত্র আলী মার্জান। গোসল করে পুকুর থেকে উঠার সময় হোচট খেয়ে পানিতে পড়ে তলিয়ে যায় জিমাম। প্রায় আধঘণ্টা পর রাত ৯টার দিকে পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ দেবদুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছেলেটি সাঁতার জানত না। ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন