রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ফুটপাথে গড়ে উঠা অনুমোদনবিহীন ট্রাফিক পুলিশবক্স গতকাল শনিবার উচ্ছেদ করে ডিএনসিসি। হাসপাতালের সামনের ফুটপাথে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক পুলিশের একটি পুরোনো পুলিশবক্স ছিল। এর পাশেই কংক্রিটের পিলার স্থাপন করে ইটের দেয়াল গেঁথে আরেকটি স্থায়ী পুলিশবক্স নির্মাণ করা হয়েছিল। অভিযানের সময় দুটি পুলিশবক্সই ভেঙে ফেলা হয়।
অভিযান শুরুর আগে পুরোনো পুলিশ বক্সের ভেতর থেকে চেয়ার-টেবিল ও অন্যান্য আসবাব সরিয়ে নেন ওই স্থানের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালনা করেন অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ। উচ্ছেদ অভিযানে পুরো সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, পথচারীর যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে হবে। যদি এই ফুটপাথ ব্যবহার করতে না পারার কারণে কোন দুর্ঘটনা ঘটে বা কোন পথচারীর মৃত্যু হয় এই দায় কে নিবে? দেখে খুবই আশ্চর্য লেগেছে, খুব খারাপও লেগেছে। আমাদের ১৮ ফুট চওড়া ফুটপাথটিকে কীভাবে স্থায়ী পুলিশবক্স করা হয়েছে।তিনি বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য রোগী সেবা পেতে এই ফুটপাথ দিয়ে হাসপাতালে যাতায়াত করে। অনেকে হুইল চেয়ার ব্যবহার করে। বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাতায়াত করে এই ফুটপাথ দিয়ে। এসব বিষয় চিন্তা করে এই এলাকায় ফুটপাথ চওড়া করে বানানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আমাকে জানিয়েছে ফুটপাথে এই স্থাপনার জন্য তাদের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। এমনকি তাদের রাস্তায় নেমে যেতে হয়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যেকোনো সময়।
মেয়র আরও বলেন, পিলার ও দেয়াল দিয়ে ফুটপাথ পুরো দখল করে পুলিশবক্স হবে, এটি অনাকাক্সিক্ষত। অবশ্যই পুলিশদের জন্য জায়গা লাগবে। তবে আলোচনার ভিত্তিতে কাজগুলো করা যায়।
পুলিশ বিভাগের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, আপনারা আসুন, আলোচনা করুন। দরকার হলে আমরা সরকারকে বলব পুলিশবক্সের জন্য জায়গা দিতে। কিন্তু এভাবে পুরো ফুটপাথ দখল করে পুলিশবক্স করা হবে, তা কাম্য নয়। জনগণ যাতে দুর্ভোগ না পোহায় এ ব্যাপারে আরও সচেতন হতে হবে। সিটি করপোরেশনের জায়গায় কোনো স্থাপনা করতে চাইলে সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়েই করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন