নরসিংদীতে কারাবিধি অমান্য করে জেলা কারাগারে রাতের আধাঁরে লিজন মোল্লা নামে এক হাজতির উপর অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল রোববার নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে নির্যাতনের শিকার লিজন মোল্লার স্বজন এবং এলাকাবাসীর যৌথ উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে লিজনের মা সাজেদা বেগম বলেন, একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলায় গত ১২ জুন আমার ছেলে লিজন মোল্লাকে বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশ। ১৩ জুন আদালতের নির্দেশে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। গত ১৮ জুলাই জেল হাজত থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত থেকে পুনরায় জেল হাজতে ফিরে গেলে রাতে কারারক্ষিরা মোবাইল ফোন খোঁজার নামে তার দেহসহ বিছানার আশপাশ তল্লাশি করে চলে যায়। পরবর্তীতে রাত গভীর হলে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন জেল সুপার শফিউল আলম‘র নেতৃত্বে কয়েকজন কারারক্ষি কারাবিধি অমান্য করে মুখে কালো কাপড় বেধে লিজনের কাছে যায় এবং তার দুই হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে মুখে কাপড় বেধে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এসময় তার পুরুষাঙ্গে বার বার তারকাঁটা দিয়ে ফুটো করে তার পুরুষাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করতে থাকে। এক কয়েদির মাধ্যমে জেলখানায় লিজনকে পিটানোর খবর পেয়ে তাকে দেখতে জেলগেটে ছুটে যান তার মা। সেখানে গেলে লিজনের সাথে দেখা করতে দেননি কারা কর্তৃপক্ষ।
নরসিংদী জেল সুপার শফিউল আলমের মুঠোফোনে কল করে লিজনকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানোর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারাগারে লিজন কম্বল ও বালিশে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তাকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন