বগুড়ার ধুনট উপজেলায় অণ্ডকোষ চেপে ধরে আব্দুর রহিম নামে এক কৃষককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল ধামাচামা গ্রামে নিহতের নিজ বাড়ির উঠানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুর রহিম ধনুট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের ধামাচামা গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীন প্রামানিকের ছেলে। এ ঘটনায় রোববার বেলা ৩টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী বিউটি খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। সে কৃষক আব্দুর রহিমের তৃতীয় স্ত্রী। জানা যায়, আব্দুর রহিম পেশায় একজন প্রান্তিক কৃষক। প্রায় ৬ বছর আগে তিনি বিউটিকে বিয়ে করেন। বিউটি শিয়ালী গ্রামের মৃত হাফিজার রহমানের মেয়ে। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে তাদের মাঝে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। সকালের দিকে আব্দুর রহিম তার স্ত্রীকে ভাত রান্না করতে বলেন। কিন্তু সময়মতো ভাত রান্না করতে না পারায় রহিম তার স্ত্রীকে মারধর করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিউটি খাতুন তার স্বামীর অণ্ডকোষ চেপে ধরে। এতে ঘটনা স্থলেই প্রাণ হারান আব্দুর রহিম। এসময় নিহতের স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিউটি খাতুনকে ঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালায়। সংবাদ পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আব্দুর রহিমের লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেন। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিউটিকে আটক করা হয়। আজ সোমবার সকালের নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) পাঠানো হবে। নিহতের প্রথম স্ত্রীর মেয়ে রোজিনা জানান, ‘বিউটি খাতুন এর আগেও তার বাবাকে অণ্ডকোষ চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করেছে।’ বিউটি খাতুন জানান, আমাকে মারধরের সময় হঠাৎ করে পড়ে গিয়ে সে মারা গেছেন। আমার স্বামীকে আমি হত্যা করিনি। ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, ‘ময়না তদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত নিহতের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন