দুই ছেলে স্ত্রী ও পিতা-মাতার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ডেপুটি স্পীকার ও বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: ফজলে রাব্বি মিয়া। এর আগে দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে গাইবান্ধা সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের হেলেঞ্চা মাঠে হেলিকপ্টার অবতরন করলে তার সকল নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষ একনজর দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। সেখান থেকে জানাজার জন্য আ্যম্বুলেন্স যোগে ভরতখালী হাই স্কুল মাঠে তার মরদেহ নেয়া হয়। এসময় জেলা প্রশাসক মো: অলিউর রহমান ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ডঅব অর্নার প্রদান করেন। পরে বেলা ৩ টায় জানাজা শেষে জেলা-উপজেলা প্রশাসন, দলীয় নেতাকর্মী সহ সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানায়। পরে তাকে নিজ গ্রাম গটিয়া মসজিদ প্রাঙ্গনে ২য় জানাযা বিকাল ৪টা ও বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে অপর আর একটি জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দুই ছেলে স্ত্রী ও বাবা মার কবরের পাশে দাফন সম্পন্ন করা হয়। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
জানাযায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহ জাহান খান এমপি, সংসদ সদস্য ইঞ্জি: মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, বিচার পতি খোশেদ আলম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকোয়াত হোসেন শফিক, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক সহ কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা সহ তৃণমূল পর্যায়ের দলীয় নেতা কর্মী সহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়।
এছাড়া জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি এমপি ও বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেদ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য এ্যাড: উম্মে কুলসুম স্মৃতি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য এ্যাড: হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ডেপুটি স্পীকার বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: ফজলে রাব্বি মিয়া’র কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
জানাজায় অংশ নেয়া তার সহকর্মী, দলীয় নেতাকর্মী সহ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সর্বস্তরের মানুষ জানায় –তার মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ। তিনি ছিলেন গাইবান্ধার প্রিয়মুখ। এলাকার মানুষের সঙ্গে নিবিড় সর্ম্পক গড়ে তুলে বঙ্গবন্ধুর আর্দশের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন