ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অভিযোগ করেছেন উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ বিশ্বাস বাবুল। তিনি বলেন, দলিল লেখকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এতে জমিদাতা ও গ্রহিতার কাছ থেকে প্রতি দলিলে সংশ্লিষ্ট দলিল লেখক সমিতির নামে দশ হাজার এবং সাব- রেজিস্টারের নামে চার হাজার করে সরকার নির্ধারিত ফি’র বাইরে আদায় করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোন দলিল লেখক এই অতিরিক্ত টাকা দিতে না চাইলে সাব-রেজিস্ট্রার রায়হান হাবিব সংশ্লিষ্ট দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খান বিপ্লব ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কদ্দুসের মাধ্যমে জোরপূর্বক আদায় করেন। এতে বর্তমান সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে বলেও তিনি দাবি করেন। গতকাল উপজেলা আ. লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
জানা যায়, বর্তমানে ধোবাউড়া সাব-রেজিস্ট্রে অফিসের দলিল লেখকের সংখ্যা ১০৬ জন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের নেতা রয়েছে ৩৫ জন। বর্তমান দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খান বিপ্লবও উপজেলা শ্রমিক লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কদ্দুস উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বর্তমান পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। ফলে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিপ্লব-কদ্দুস সিন্ডিকেট দলিল লেখক সমিতি পদ বাগিয়ে নিয়ে অবৈধ ভাবে অর্থ উপার্জনের নেশায় এসব করছে বলে অভিযোগ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখকের। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খান বিপ্লব। তিনি বলেন, দলিল প্রতি অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ মিথ্যা। মূলত আমি এবং সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় আ. লীগের রাজনীতিতে বর্তমান সংসদ সদস্যের (জুয়েল আরেং) গ্রুপ করি। আর প্রিয়তোষ বিশ্বাস বাবুল প্রতিপক্ষ গ্রুপ। ফলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তিনি এসব মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করছেন।
এ বিষয়ে সাব-রেজিস্ট্রার রায়হান হাবিব বলেন, গত অক্টোবরে আমি এই অফিসে যোগদান করে সেবা গ্রহিতাদের অবগতির জন্য সরকার নির্ধারিত ফি উল্লেখ করে একাধিক ব্যানার টানিয়েছি। যাতে কেউ দলিল লিখতে এসে অতিরিক্ত অর্থ না দেয়। অথচ আমাকে মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে, বিষয়টি বিব্রতকর এবং দুঃখজনক। আমি কোন ধরনের অনৈতিক লেনদেনের সাথে জড়িত নই। মূলত দলিল লিখক সমিতির নেতৃত্ব নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ আছে বলে শুনেছি। ফলে ওই সব কারণে আ. লীগের নেতা প্রিয়তোষ বিশ্বাস বাবুল এই সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন। তবে এই অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য ইতিমধ্যে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন