মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

একটি ল্যাবরেটরি নেই চামড়া শিল্প নগরীতে

সাংবাদিকদের ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২২, ১২:০৩ এএম

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, বিসিক চামড়া শিল্প নগরীর সিইপিটিতে কোনো ল্যাব নাই এবং পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়াই এটি পরিচালিত হচ্ছে। এখানে ১৪০টি ট্যানারী আছে, কিন্তু একটি ল্যাবরেটরি স্থাপন করতে পারছেনা। গতকাল সোমবার জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে ধলেশ্বরী নদী ও বংশী নদী দূষণের ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়ে সরেজমিনে সাভার চামড়া শিল্প নগরীর সিইটিপি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এখানে এক হাজার পনের কোটি টাকা দিয়ে একটি স্টেক স্টাবলিশ হয়, সেখানে যখন আমরা আসতেছি এখানে ল্যাবরেটরির যে ইনচার্য, যে টেষ্ট করবে সে কোথায়? সে যদি অসুস্থ্য হয় তাহলে সেকেন্টম্যানকে, যন্ত্রপাতি কোথায়? আপনারা তো নিজেরাই দেখলেন, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। কেন এটা হবে, টাকার অভাব? এই চামড়া শিল্পের কারখানায় টাকার অভাব? আমরা আরো জানতে পেরেছি এরা নাকি এখানে কুটির শিল্প এবং চামড়া সংশ্লিষ্ট আরো দুটি প্রতিষ্ঠান করতে যাচ্ছে আমরা সেগুলোকে নেগেটিভ বলবো যে, তাদের পক্ষে এগুলো করা সম্ভব না। কারণ তারা একটিতেই লেজেগোবরে অবস্থা করে ফেলেছে। আমি সরকারের উচ্চমহলে বিষয়টি বলবো যেন এখানে আধুনিক একটি ল্যাব স্থাপন করা হয় এবং যাবতীয় তথ্য উপাত্ত সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়।

তিনি আরো বলেন, সাভারের মাটি দূষিত হয়ে গেছে, সাভারের পানি দূষিত হয়ে গেছে, সাভারের বাতাসও দূষিত। এছাড়া সাভারের আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটারের কথা হচ্ছে, সেখানেও নাকি বর্জ্য ইনজেক্ট করা হয়। আমি মনে করি সাভার একটা অভিশপ্ত জনপদে পরিণত হতে যাচ্ছে। এটা হতে দেয়া যাবেনা। এর আগে তিনি কমিশনের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে একটি ট্যানারী পরিদর্শন করেন এবং ট্যানারী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি বলেন, সাভারে ট্যানারী ছাড়াও অনান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিবেশ দূষণ করতেছে। পরবর্তীতে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী সাভার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির বিশেষ সভায় যোগ দেন। বিশেষ সভায় পৌর মেয়র, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সদস্যবৃন্দ, সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীসহ সচেতন নাগরিকগণ সাভারের খাল-বিল, নদী দখল দূষণের বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনা করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন