চট্টগ্রাম মহানগরীর নাসিরাবাদ আবাসিক এলাকার পার্কের সামনে ওষুধ ছিটিয়ে মশক নিধনে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। এ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ৭ দিনব্যাপী চলবে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, চার পাশে যেন এডিস মশা জন্ম নিতে না পারে সে ব্যাপারে সকলকে সচেতন হতে হবে। আবহাওয়াগত কারণে নগরীতে এখন মশার উপদ্রব বেড়েছে। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ৭ দিনব্যাপী এই ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চলবে।
ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নগরবাসীর সচেতনতার ওপর জোর দিয়ে মেয়র বলেন, এডিস মশা বাসা-বাড়ির স্বচ্ছ পানিতে জন্মায়, পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। দেখা গেছে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের বেশিরভাগই উচ্চবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণির। কারণ এডিস মশার জীবনাচরণ নালা, নর্দমায় জন্ম হওয়া কিউলেস মশার তুলনায় এই মশাগুলো অন্য রকম। বৃষ্টি হলেই জমে থাকা পানিতে এ মশা সহজে বিস্তার লাভ করে। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন কেবল বাড়ির বাইরে মশা মারতে পারে তাই আমাদের নিজ নিজ বাসা বাড়ি আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখতে হবে। ডেঙ্গুর বাহক দৃশ্যমান এডিস মশা নিধন করা সম্ভব। প্রয়োজনে আরও কঠোর অবস্থানে যাওয়া হবে। এডিসের উৎস খুঁজে পেলে দায়ী ব্যক্তিদের জেল জরিমানা করা হবে।
মেয়র আরও বলেন, নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের ঝোপঝাড় পরিষ্কার ও নালায় যেখানে মশার জন্ম হয় সেখানে ওষুধ ছিটানো হবে। আমাদের যে পরিমাণ মশা ধ্বংসকারী ওষুধ আছে এই ওষুধের সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাপ্ত বয়স্ক মশা নিধনের জন্য এডালটিসাইড এবং মশার লার্ভা (ডিম) ধ্বংসের জন্য লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটানো হবে। তিনি ছাদ বাগান, এসই, ফ্রিজ, ফুলের টপ, ডাবের খোসা, গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিক বোতল, ভাঙা বালতিতে যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী, মো. মোরশেদ আলম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন