বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

লোডশেডিংয়ের তথ্য নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যান

ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জিএম

যশোর ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

ঝিনাইদহের লোডশেডিংয়ের তথ্য নিতে গিয়ে তিন সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠছে ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলীর বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের রাউতাইল পল্লী বিদ্যুৎ ভবনে এ ঘটনা ঘটে। অবরুদ্ধ সাংবকাদিকরা হলেন- চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের সাদ্দাম হোসেন, সময় টিভির লোটাস রহমান সোহাগ ও গ্লোবাল টিভির এস এম মেহেদী হাসান জিকু।

অভিযোগ উঠেছে এ সময় আনসার সদস্য দিয়ে প্রধান গেট আটকিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করা হয়। খবর পেয়ে ঝিনাইদহের সিনিয়র সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় অবরুদ্ধ সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার লোডশেডিংয়ের তথ্য চাওয়া হলে জিএম ইসহাক আলী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
জানা যায়, ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের অধীনে জেলার ৬ উপজেলায় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অতিরিক্ত সময় লোডশেডিং হচ্ছে। বিদ্যুতের সরবরাহ কম নাকি কারিগরি ত্রুটি এ বিষয়টি জানতে গত মঙ্গলবার দুপুরে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলীর দফতরে যান। সেখানে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে জিএম ইসাহাক আলী বলেন, আমি কোন তথ্য দিব না। প্রধানমন্ত্রী লোডশেডিং দিচ্ছেন আপনি তার কাছে যান। গতকাল বুধবার লোডশেডিংয়ের তথ্য জানতে আরো কয়েকজন সংবাদকর্মী সেখানে গেলে অফিসে যাওয়ার পরপরই তিনি ক্ষুব্ধ হন। তথ্য না দিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের সাথে অশালীন আচরণ শুরু করেন। এক পর্যায়ে অফিসের সরকারি ফাইল ছুড়ে দিয়ে অকথ্য ভাষায় সাংবাদিকদের গালিগালাজ করতে করতে অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকেন এবং রুমে তালা দিয়ে আনসার সদস্যদের ডাকতে বলেন। তিন সংবাদকর্মী অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে অফিসের অন্যান্যরা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হন। খবর পেয়ে জেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। সংবাদকর্মীরা বিষয়টি জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম, পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলামকে জানালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন বলেন, গনমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে জিএম যে আচরণ করেছেন তা কোন সরকারি কর্মকর্তার আচরণ হতে পারে না। আমার তার রুমে বসেই আছি আর তিনি অফিসের মধ্যে নিজেই চিৎকার চেচামেচি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। এ দৃশ্য দেখে মনে হয়েছে আমরা যেন ডাকাতি করতে এসেছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জেনারেল ম্যানেজার ইসাহাক আলী অনুতপ্ত হয়ে বলেন, আমি ভুল করেছি। এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন