কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষকদের আপগ্রেডেশন নীতিমালায় অবেক্ষাধীনকালে শর্ত আরোপের বিষয়ে কোনো বিধান নেই দাবি করে বিগত কয়েকটি সিন্ডিকেটে পদোন্নতি প্রাপ্তিতে এ ধরনের শর্ত আরোপের তীব্র বিরোধিতা করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সমিতির সভাপতি ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। বর্তমান শিক্ষক সমিতির ৩য় সাধারণ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৮২তম সিন্ডিকেটে কয়েকজন শিক্ষককে অবেক্ষাধীনকালের মধ্যে নির্দিষ্ট জার্নালে গবেষণা প্রকাশে ব্যর্থ হলে তাঁকে স্বীয় পদে চাকুরী স্থায়ীর সুপারিশ করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ফলে একই পদে নিয়োজিতদের মধ্যে যে বা যিনি শর্ত পূরণে ব্যর্থ হবেন তাঁর জ্যেষ্ঠতা ক্ষুন্ন হবে দাবি করে শিক্ষক সমিতি এই শর্তটিকে কালো আইন বলে আখ্যায়িত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখানে অনেক শিক্ষক বিভিন্নভাবে প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেন। তাই সকল স্তরে অটোমেশন পদ্ধতি চালু, দ্রুত গতির ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত ও সকল ধরনের র্যাংকড জার্নালে প্রবেশাধিকার সুবিধা নিশ্চিত করে প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি না করে এ ধরণের শর্ত আরোপ করা শিক্ষকদের উপরে নিপীড়নের শামিল।
জুলাই মাসের বেতনের সাথে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য তিনটি ইনক্রিমেন্ট প্রদানের বিষয়ে নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছিল দাবি করে আসন্ন সিন্ডিকেটে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করেছেন শিক্ষকরা।
প্রশাসন এসব দাবি বাস্তবায়ন না করলে শিক্ষক সমিতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন