আজকাল প্রায়ই পুরুষত্বহীনতা তথা পুরুষের অক্ষমতার কথা শোনা যায়। আর এতে উঠতি বয়সের যুবকরা রীতিমতো হতাশ। ফলে অভিভাবকরাও বেশ দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ছেন।
পুরুষত্বহীনতা : প্রকৃত অর্থে এটি পুরুষের যৌনকার্যে অক্ষমতাকেই বুঝায়।
শ্রেণীবিভাগ : মূলত পুরুষত্বহীনতাকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়-
* ইরেকশন ফেইলিউর : অর্থাৎ পুরুষ লিঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা।
* পেরিট্রেশন ফেইলিউর : অর্থাৎ লিঙ্গের যোনিদ্বারছেদনে ব্যর্থতা।
* প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন : অর্থাৎ সহবাসে দ্রুত বীর্যস্খলন, তথা স্থায়ীত্বের অভাব।
কারণসমূহ : প্রধান প্রধান কারণগুলো হলো-
* অতিরিক্ত মাদক ও অন্যান্য নেশা সেবন
* বয়সের পার্থক্য, পার্টনারকে অপছন্দ (দেহ-সৌষ্ঠব, ত্বক ও মুখশ্রী)
* দুশ্চিন্তা, টেনশন ও অবসাদ
* ডায়াবেটিস, জন্মগত ও দীর্ঘমেয়াদি অন্যান্য রোগ
* যৌনবাহিত রোগ (সিফিলিস, গণোরিয়া)
* রক্তে সেক্স-হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
* ক্রটিপূর্ণ যৌনাসন
* সেক্স-এডুকেশনের অভাব।
দেখা যায়- উঠতি বয়সের যুবকরা হাতুড়ে ডাক্তারের খপ্পরে পড়ে বা স্বেচ্ছায় বিভিন্ন হরমোন ইনজেকশন নেয় অথবা ভুয়া ওষুধ সেবন করে। এটি মোটেই কাম্য নয়। কারণ, এর পার্শ্বক্রিয়ায় শেষপর্যন্ত সত্যিকারভাবে পুরুষত্বহীনতার সম্ভাবনা দেখা দেয়- যা থেকে পরবর্তীতে আরোগ্য লাভ করা অসম্ভব ওঠে। তাই যাদের এই সমস্যা আছে তারা দেরি না করে এর সঠিক কারণ নির্ণয় করুন তারপর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হোন।
ডা. এ কে এম মাহমুদুল হক খায়ের
ত্বক, যৌন, সেক্স ও অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ এবং কসমেটিক সার্জন।
সিনিয়র কনসালটেন্ট (এক্স),
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
ফোন : ০১৯১৫৬৯২৮৯৬।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন