গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আওয়ামীলীগ নেতার মেয়ের বিয়েতে কনেকে তুলে নিতে মাদারীপুর থেকে হেলিকপ্টারে বর আসলেন কোটালীপাড়ায় । আজ শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দর থেকে হেলিকপ্টার নিয়ে কানাডা প্রবাসী বর অপু সুলতান গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা হেলিপ্যাডে এসে অবতরণ করেন । এর সেখান থেকে গাড়িতে করে বর এসে তার আপ্যায়নের স্হান অডিটরিয়ামে অবস্হান করেন। অপরদিকে ৫ শতাধীক বরযাত্রীরা ৫০ টি গাড়িতে এসে বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। প্রায় দুই কিলোমিটার জায়গা জুরে সাজানো হয় আলোক সজ্জার ঝিলমিল রঙিন বাতিতে। বর অপু সুলতান কানাডার একজন ব্যাবসায়ী ও পার্শবর্তী মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের হায়দার মিয়ার ছেলে। বাবার স্বপ্ন পূরণে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে আসেন তিনি । আবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেড়ে খাওয়া দাওয়া শেষে বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে চলে যান। এদিকে হেলিকপ্টারে বর আসার খবর পেয়ে এক নজর বরকে দেখার জন্য স্থানীয় উৎসুক জনতা ভীড় করে হেলিপ্যাডে। বিয়েতে ২ হাজার আত্মীয় স্বজন ও দলীয় নেতা-কর্মীকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। এ বিয়েতে মেয়ের বাবা কারো কাছ থেকে কোনো উপহার সামগ্রী নেয়নি। এর আগে কানাডা প্রবাসী ব্যাবসায়ী ছেলে অপু সুলতানের সাথে বিয়ে হয় কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সুমন হোসেন বাচ্চুর মেয়ে জিনিয়া হোসেন জেরিনের। আওয়ামী লীগ নেতা সুমন হোসেন বাচ্চু এই বিয়েতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হিসেবে অতিথিদের কাছ থেকে কোন উপহার সামগ্রী না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে ২ হাজার অতিথিদের দাওয়াত দিয়ে উপজেলার অডিটোরিয়ামে বিয়ের আয়োজন করেন। জিনিয়া হোসেন জেরিনের কাকা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাবলু হাজরা বলেন, জেরিন আমাদের পরিবারের খুব আদরের মেয়ে। আমাদের পূর্বে থেকেই ইচ্ছা ছিল খুব ধূমধাম করে জেরিনের বিয়ের অনুষ্ঠান করার। আল্লাহতালা আমাদের সেই ইচ্ছা পূরণ করেছেন। আমরা আমাদের কন্যার জন্য সকল অতিথির কাছ থেকে উপহার হিসেবে শুধু দোয়া চেয়েছি। সকলের দোয়ায় আল্লাহ যেন আমাদের মেয়ে ও জামাইকে সুখে শান্তিতে রাখেন। বর অপু সুলতান বলেন, আমার পিতার স্বপ্ন ছিল আমি যেন হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাই। আল্লাহতালা আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করেছেন। আপনারা সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন