অবশেষে বরিশালের আকাশ থেকে বিদায় নিতে চলেছে রাষ্ট্রীয় বিমান। আকষ্মিকভাবেই শুক্রবার দুপুরে বরিশাল সেক্টরের নিয়মিত ফ্লাইট সপ্তাহে ৩ দিনে হ্রাস করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান। তবে বেসরকারী ইউএস বাংলা এয়ারওয়েজ তাদের নিয়মিত দুটি ফ্লাইট অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বিমান বন্ধের দিনগুলোতে ৩টি করে ফ্লাইট পরিচালনার কথা ভাবছে বলেও দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। করোনা সঙ্কট কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশে গত বছর ২৬ মার্চ থেকে বরিশাল সেক্টরে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালন শুরু করে বিমান। এমনকি সেদিন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ছাড়াও বরিশাল এক অনুষ্ঠানে বিমান-এর তৎকালীন এমডি সুধি সমাজের সাথে মত বিনিময়কালে এ সেক্টরে রাষ্ট্রীয় বিমান নিয়মিত চলাচলেরও প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। এমনকি যাত্রীদের দাবির মুখে বিমান বন্দরের যাতায়াতের এসি বাস সার্ভিসও চালু করা হয়। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হবার পরে বিমান-এর একটি মহল বরিশাল সেক্টরে ফ্লাইট বন্ধের পথ খুঁজছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় দৈনিক ফ্লাইট সপ্তাহে তিন দিনে হ্রাস করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। বরিশাল চেম্বারের সভাপতি সাঈদুর রহমান রিন্টু বিমান-এর এ ঘোষণাকে অত্যন্ত বিমাতাসুলভ বলে অভিযোগ করে তা পূণঃ বিবেচনারও দাবি করেছেন। তার মতে, বছরের দুটি ঈদ পরবর্তি ১০ দিন পর থেকে প্রায় এক মাসই সব সেক্টরে যাত্রী চলাচল হ্রাস পায়। যে কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকেই ভাল সময়ের জন্য ধৈর্য্য ধরতে হয় বলেও জানান তিনি। তার মতে, বিমান-এর নতুন সিদ্ধান্তের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র আকাশ পথে রাষ্ট্রীয় বিমান হয়ত বন্ধই হয়ে যাবে। তার মতে, কেউ কবে বিমান চলে তার জন্য বসে থাকবে না। কেউ বিমান-এ ভ্রমণের জন্য ঢাকায় যায় না, ঢাকায় যাবার জন্য নিয়মিত আকাশযান খোঁজে। বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতি ও বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন নেগাবানও বিমান-এর এ সিদ্ধান্তকে বিমাতাসুলভ আচরণ বলে তার নিন্দা জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন