কুষ্টিয়া জেলার জুগিয়া পালপাড়া এলাকায় ১টি অবৈধ মিনি কারখানা ও গোপন ডেরায় উৎপাদন করা হচ্ছে ভেজাল ও নকল মবিল। এই অনৈতিক কারবারে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতবদল হচ্ছে। আর দিনের পর দিন আটক এড়িয়ে চলছেন সিন্ডিকেট প্রধানরা।
ধুরন্ধর ও অসাধুরা কয়েকজন লোক নিয়োগ করে পোড়া মবিল, কেরোসিন তেল ও এক ধরনের রিফাইনিং মেডিসিন ব্যবহার করে উৎপাদন করে চলেছে এই ভেজাল মবিল। আবার নিম্নমানের মবিল কিনে দামি ব্র্যান্ডের বোতলে ভরছেন। বিভিন্ন গ্যারেজ থেকে নামিদামি ব্র্যান্ডের মবিল কোম্পানির বাতিল পট সংগ্রহ করে নকল স্টিকার, মোড়ক ও সিকিউরিটি সিল ছাপিয়ে চলছে এ চক্রের প্রতারণা। এই অসাধু চক্র ধ্বংস করতে দ্রুত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্বশীলদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন প্রতারিত ক্রেতা সাধারণ।
স্থানীয়রা জানান, কুষ্টিয়ার জুগিয়া পালপাড়া এলাকার আলোচিত মবিল কারবারি ও কারখানা পরিচালনাকারী মো. শাহিন আলী, সেখানে ব্যারেল ব্যারেল মবিল উৎপাদন করে এখন বিশাল অর্থের মালিক। মিনি কারখানা গড়ে তুলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে চালাচ্ছে ভেজাল ও নকল মবিলের কারবার।
গোপনে চলছে এই ভেজাল মবিল কারখানা। বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকলেও বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের কোম্পানির লেভেল-লোগো নকল করে চলছে এই ভেজাল মবিল উৎপাদন ও বাজারজাত। প্রতি লিটার ৪৫০ টাকা, ৫২০ টাকা, ৭৫০ টাকা, অথচ ওই অসাধু চক্রটি ওই নামিদামি ব্র্যান্ডের মবিলের বাতিল পট সংগ্রহ করে নিম্নমানের মবিল ভরে বাজারে ছাড়ছে। নকল স্টিকার, পলিথিন মোড়ক ও সিকিউরিটি সিল লাগানো থাকায় সাধারণ ক্রেতারা ধরতে পারছেন না ভেজাল ও নকল। তারা সেই আসল দামে ওই নকল ও ভেজাল মবিল কিনছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ও নামি ব্র্যান্ডের বোতলে ভেজাল ও লুজ ইমপেক্ট লুব্রিকেন্টস বোতলজাত করা চক্র ও ভেজাল ও নকল মিনি মবিল কারখানা পরিচালনাকারীদের দ্রুত মোবাইল কোর্ট ও পুলিশি অভিযান দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের শেয়ারহোল্ডার মাসুমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের কাগজপত্র আছে আপনি নিউজ করেন না, আপনার সাথে দেখা করব।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকারের উপ-পরিচালকের সাথে মুঠোফোন কথা হলে তিনি বলেন, তথ্যপ্রমাণ সঠিক থাকলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন