সর্বত্র নিরাপত্তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অভাব। রাস্তা-ঘাট, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, গণপরিবহন এমনকি নিজ বাড়িতেও রয়েছে নিরাপত্তার অভাব। যেখানে সেখানে ধর্ষণ তো নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেয়েকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েও দুশ্চিন্তার শেষ নেই বাবা মায়ের। বাইরে চলাফেরা করতে জড়তা কাজ করে। এই বুঝি কোনো অনাকাক্সিক্ষত বিপদ ধেয়ে আসল! মেয়েরা পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছে। অথচ তাদের আত্মরক্ষার কৌশল নিয়ে কেউ ভাবছেই না। যেখানে কোথাও নিরাপত্তা নেই সবখানে নিরাপত্তার অভাব সেখানে আত্মরক্ষার ব্যাপারে যেন সবাই উদাসীন। কার উপর নির্ভশীল হবে? দিনশেষে নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে। এর জন্য আত্মরক্ষার কৌশলগুলো আয়ত্ত করার কোনো বিকল্প নেই। আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে কারাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু আত্মরক্ষার কৌশলই নয়, একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ খেলাও বটে। শত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করতে খালি হাতে আত্মরক্ষার কৌশলই হলো কারাতে। এটি এমন একটি আঘাত করার কৌশল, যা অতি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মুক্তহস্তে আঘাত করা শেখায়। পৃথিবীর যেকোনো দেশের যেকোনো মানুষের কাছে আত্মরক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেউই অনিরাপদ থাকতে পছন্দ করে না। কারাতে চর্চার ফলে সুফল ছাড়া কুফল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারাতে প্রশিক্ষণের এত উপকারিতা থাকা স্বত্ত্বেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কারাতে প্রশিক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। অথচ, নিরাপত্তাহীনতার এমন দশায় দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কারাতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ রইল।
শারমিন উদ্দিন
শিক্ষার্থী, ইডেন মহিলা কলেজ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন