দ্রুতগামী ট্রেনের ইঞ্জিনের প্রচণ্ড ধাক্কায় পর্যটকবাহী মাইক্রোবাসটি ধুমড়ে মুচড়ে যায়। মহানগর প্রভাতির ইঞ্জিন প্রায় এক কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায়। মাইক্রোতে থাকা ১১ জন মারা গেলেও প্রাণে বেঁচে যান ছয়জন। একজন জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়েন। অপর পাঁচজন অনেকটা অলৈকিকভাবে রক্ষা পান।
তাদের একজন জুনায়েদ কায়সার ইমন। শুক্রবার মীরসরাইয়ের বড়তাকিয়া রেলক্রসিংয়ে মর্মান্তি দুর্ঘটনায় আহত ইমন জানান, তারা মাইক্রোবাসের একেবারে পেছনের সিটে ছিলেন। রেলক্রসিংয়ে উঠতেই ট্রেনের ধাক্কা। এরপর মাইক্রোটিকে টেনে নিতে শুরু করে ট্রেনের ইঞ্জিন। ঠিক ওই সময় হঠাৎ পেছনের ডালা খুলে যায়। তাতে তারা নিচে পড়ে যান। এতে তারা আহত হলেও প্রাণে বাঁচেন।
চমেক হাসপাতালের বিছাানায় বসা ইমনের মুখে দুর্ঘটনা থেকে তার বেঁচে যাওয়ার এমন ঘটনা শুনে স্বজনেরা মহান আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করছিলেন। আর বলছিলেন, ‘রাখে আল্লাহ মারে কে।’ আল্লাহর অসীম রহমতেই তারা এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন জুনায়েদ কায়সার ইমন পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ জন হাটহাজারীর আরএনজে কোচিং সেন্টারের ছাত্র ও শিক্ষক। আহতদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ইমন সবচেয়ে কম আঘাত পান। উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র ইমনকে জানানো হয়নি তার কতজন বন্ধু কিংবা শিক্ষক মারা গেছেন। তার বাবা আবুল কাশেম বার বার আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন