বগুড়ার লতিফপুর কলোনি এলাকায় ফয়েজুল্লাহ স্কুলের পরিচালনা কমিটি গঠনে অবৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, খুব শীঘ্রই এই ঐতিহ্যবাহী স্কুলে কয়েকটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রায় কোটি টাকার ওপরে। নিয়োগের সুযোগ থাকায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় কোন রকম আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই, শিক্ষাবোর্ড রাজশাহীতে একটি কমিটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
গত ২৮ জুলাই পাঠানো এই কমিটির সভাপতি হিসেবে নাম রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা মাহিদুল ইসলামের। গতকাল শনিবার দুপুরে স্কুল মহল্লার আশেপাশের লোকজন এবং অভিভাবক সদস্যরা বগুড়া প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এলাকাবাসী এবং অভিভাবকদের পক্ষে মো. আতিকুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
অভিযোগে বলা হয়, কাউকে না জানিয়ে স্কুলের শ্রেণিক্ষে বা নোটিশ বোর্ডে তালিকা না টাঙিয়ে প্রধান শিক্ষক গোপনে গত ২৮ জুলাই আওয়ামী লীগ নেতা মহিদুলকে সভাপতি করার প্রস্তাব রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়েছেন। অথচ এই প্রক্রিয়া না করায় একাধিকবার তাকে লিখিতভাবে আবেদন ও সতর্ক করা হয় বলে জানিয়েছেন আরিফুল ইসলাম নামের একজন অভিভাবক সদস্য। অভিযুক্ত মহিদুল ইসলামের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি ইনকিলাবকে বলেন, তিনি পরে কথা বলবেন।
স্কুল সংশ্লিষ্ট কয়েকজন এলাবাসী বলেন, স্কুলে সামনে কয়েকটি নিয়োগ আছে। ওই নিয়োগে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মিশন থেকেই মূলত দ্বন্দ্বের সৃষ্টি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন