শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী আটক

রাবি সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রিক্তা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার শিক্ষার্থীর বাবা লিয়াকত জোয়ারদার বাদি হয়ে হত্যা মামলা করলে মতিহার থানা পুলিশ তাকে আটক করে।

নিহত রিক্তা আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার জোতপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় আটক রিক্তার স্বামী আব্দুল্লাহ ইসতিয়াক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে। তারা দু’জন একই ভাড়া বাসায় থাকতেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের ধরমপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঐ শিক্ষার্থীকে স্বামী ও তার বন্ধুরা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক তারেক নুর, আইন বিভাগের সভাপতিসহ রিক্তার ১৫-১৬ জন সহপাঠী হাসপাতালে উপস্থিন হন।

পরবর্তী কর্তব্য চিকিৎসক রাবির ছাত্র-উপদেষ্টাকে জানান হাসপাতালে আনার পূর্বেই ওই ছাত্রী মারা যান। পরবর্তীতে মতিহার থানার ওসি রিক্তার স্বামীসহ এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যান। সেখানে তাদেরকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

একপর্যায়ে রিক্তার পরিবার রাজশাহী আসে এবং রিক্তার বাবা বাদি হয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় তার স্বামীকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে রিক্তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রেফতারের বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, মেয়েটার আত্মহত্যার বিষয়টি আমাদের কাছে রহস্যজনক। তাই রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি। লাশ তার পিতার নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। রিক্তার বাবা বাদি হয়ে থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। ৩০২ ধারায় আমরা একটি হত্যা মামলা রুজু করেছি। রিক্তার বাবা জানিয়েছেন, এই হত্যাকণ্ড তার জামাই সংঘটিত করেছে। তাই তার জামাইকে আমরা আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছি। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেতে এখনও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন