সাতক্ষীরায় এক সন্তানের জননীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের বাবার কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামীসহ চারজনের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহতের নাম হালিমা খাতুন। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাড়দ্দহা গ্রামের বাবুল পাড়ের মেয়ে। তার শ্বশুর বাড়ি সদর উপজেলার ছনকা গ্রামে। স্বামীর নাম লিটন ঢালী। নিহত হালিমার পিতা বাবুল পাড় জানান, সাত বছর আগে লিটনের সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে লামিয়া খাতুন নামের তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েকমাস পর থেকে যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন হালিমাকে প্রায়ই মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো। যে কারণে মেয়ে হালিমাকে অধিকাংশ সময়ে বাবার বাড়ি হাড়দ্দহা-তেই থাকতে হতো। আনুমানিক মাস দুই আগে হালিমাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এসে নিয়ে যায়। এরপর আবারো তার উপর নির্যাতন চালাতে থাকে। সব শেষ গত শনিবার বিকেলে মেয়ের সাথে মোবাইলে কথা হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে খবর আসে হালিমা ঘরের আড়ায় গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। হালিমার বাবা আরো বলেন, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি, তাকে নির্যাতন করে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার প্রচার চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় স্বামী লিটনসহ চারজনের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে। সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার বলেন, লাশ ময়না তদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন