গুচ্ছের অধীনে স্নাতক ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে বসানোর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার গুচ্ছের অধীন ‹এ› ইউনিটের বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ৩১৬ নং এবং ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবনের ১২৫ নাম্বার কক্ষে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত পরীক্ষার্থীদের বসে পরীক্ষা দিতে দেখা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মীর মোশাররফ হোসেন ভবনের ৩১৬ নং রুম ও ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবনের ১২৫ রুমে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে সিট প্লান করা হয়েছে। যে রুমগুলোতে বিগত বছরে ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থীদের বসানো এই বছর একই রুমে ৭৮ জন শিক্ষার্থী বসানো হয়। যেখানে দুজনের জায়গায় তিনজন। এতে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই অন্যের উত্তরপত্রের উপর চোখ রাখতে সক্ষম ছিল বলে অভিযোগ করে পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষকরা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, আবাসন সঙ্কট না থেকেও সিট প্ল্যানিং এ আবাসন কমিটি যে গাফলতির পরিচয় দিয়েছে এটা মেনে নেওয়ার মত নয়। ভর্তি পরীক্ষার আসন থেকে টিউটোরিয়াল পরীক্ষার আসন বিন্যাসও এর চেয়ে উন্নত হয়। গত ২৪ বছর ধরে পরীক্ষা নিয়ে আসছি ৩০-৪০ জন করে এবার ৭৮ জন। ভালোভাবে লেখা তো দূরের কথা। ভালোভাবে বসা যাচ্ছিল না। ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে ৪টি ভবনে অথচ দুটি একাডেমিক ভবন, ও ল্যাবরেটরি স্কুলসহ বেশ কয়টি ভবন ফাঁকা ছিল।
সিট প্লান কমিটির প্রধান প্রফেসর ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমাদের কাছে দুটি রুমের ব্যাপারে অভিযোগ এসেছে। আগামীকাল আমরা রুমগুলোতে যাবো এবং যে সমস্যাগুলো ছিল প্রক্টরিয়াল বডির সাথে আলোচনা করে তা সমাধান করব।
দুই জনের সিটে তিনজন বসানো হয়েছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‹এ› ইউনিটে পরীক্ষার্থী সংখ্যা কম। যে জন্য সিট প্লান করেছি ‹বি› ইউনিটের জন্য। আমরা যদি দুইজনের স্থানে তিন জন না দেই তাহলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের স্কুলগুলোতে সিট প্লান করতে হবে। যেখানে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন বিদ্ধ হতে হবে। দুই জনের সিটে তিনজন এখানে যথেষ্ট দুরত্বের ব্যবধান রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন