ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকসহ ৪ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এতে নাম উল্লেখ করে ৭৪ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত রোববার রাতে ভোলা সদর মডেল থানায় এ দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ভোলা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. জসিম বাদী হয়ে পুলিশের উপর হামলার এবং স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মী হত্যার ঘটনায় এ মামলা দায়ের করা হয়। এ সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন জানান, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এদিকে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আ. রহিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে পাল্টা আরেকটি মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে। জেলা বিএনপির অফিস বন্ধ রয়েছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে জেলা বিএনপির প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়। এর মধ্যে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম এর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বর্তমানে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম (বিপিএম, পিপিএম) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, নিহত রহিম কিভাবে মারা গেছেন সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নন। তবে মাথায় রক্তক্ষরণ জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসক তাকে জানিয়েছেন এবং সংঘর্ষে পুলিশের ৬ থেকে ৭ জন সদস্যও আহত হয়েছেন তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন