খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভার অফিস টিলায় প্রাচীন এসডিও বাংলো এলাকায় উপজেলা পরিষদের খতিয়ানভূক্ত জমি, জেলা প্রশাসকের নামীয় খাস বিরোধ পূর্ণ জমিতে বিজিবি কর্তৃক পূর্বে দেয়া কাঁটাতারের বেষ্টনীতে পুনঃ সংস্কার কালে গতকাল সোমবার ২ ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৫দিনের জেলহাজতে পাঠায় ভ্রাম্যমান আদালত।
এঘটনার পর মঙ্গলবার (২আগস্ট) ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের কোম্পানী সদর বিজিবি নিজস্ব সৈনিকদের দিয়ে প্রায় সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ক্যাম্প সংলগ্ন কাঁটাতারের বেষ্টনী আবারো পুনঃ সংস্কার করে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজিবি'র সৈনিকদের কাঁটাতারের বেষ্টনী মেরামত কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দীন আরাফাত সাংবাদিকদের বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের গত ২৮ নভেম্বর ২০২১ এর আদেশ অমান্য করে রামগড় উপজেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসকের নামীয় খাস জমির উপর অবস্থিত ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত রামগড় সাবেক মহকুমা প্রশাসকের এসডিও বাংলোর সামনে অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেষ্টনীতে কাজ করেই যাচ্ছে। সকালে বিজিবি নিজস্ব সৈন্যদের দিয়ে জায়গাটি দখলে নিতে পুনরায় কাঁটাতারের বেষ্টনী মেরামত করে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসকের নামীয় জমিতে বর্তমানে সরকারী যুব উন্নয়ন অফিস, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক রয়েছে। তাছাড়াও উক্ত জায়গাটিতে উপজেলা ভূমি অফিস, উপজেলা মডেল মসজিদ, উপজেলা মৎস্য অফিস ও উপজেলাা শিক্ষা অফিস ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারণ করা রয়েছে।
ইউএনও গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করে বলেন, সকালে অফিস শুরুর প্রাক্কালে প্রায় শতাধিক সশস্ত্র বিজিবি সদস্য বর্ণিত স্থানে বিদ্যমান সরকারির অফিস সমূহের সামনে অবস্থান করে কাঁটা তারের বেষ্টনী নির্মাণকালে উক্ত স্থানে অবস্থিত সরকারি অফিসসমূহে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারী, আগত সেবা প্রত্যাশী ও স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে আতংক ও ভীতির সঞ্চার হয়।
এদিকে রামগড় ৪৩ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো: হাফিজুর রহমান, পিএসসি গণমাধ্যমে পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় তিনি জানান, আমরা ক্যাম্পের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেছি এবং কে বা কাহারা ঘেরের বেড়া ভেংগে দিয়েছিলো, নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে ঘেরের বেড়া পুনরায় সংস্কার করেছি। সেখানে মাত্র ১০ থেকে ১৫ জন সৈন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছাড়াই কাজ করছিল।
এদিকে- নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এলাকাবাসী ও পথচারী গন এ প্রতিনিদিকে বলেন, বিজিবি ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে বিরোধ ও মারমুখি অবস্থান দেখে আমরা ভয়ে ও আতংকে ছিলাম। এবিষয়ে প্রশাসন ও বিজিবি'র মধ্যেকার ভূমি বিরোধটি দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন