টানা ৩৫ ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে শাখা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর রোববার মধ্যরাত থেকে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিশ^বিদ্যালয়ে অবরোধের ডাক দেয়। গভীর রাতে ভাঙচুর করা হয় আবাসিক হলের ৪০টির মত কক্ষ। প্রতিপক্ষের কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
সোমবার সকালে বিশ^বিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেনের তিন চালককে অপহরণ করা হয়। এরপর প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভের নামে রীতিমত নৈরাজ্য চালায় সরকারি দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে দুইদিন অচল থাকে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়। তবে অচলাবস্থা নিরসনে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, পুলিশ প্রশাসন কিংবা আওয়ামী লীগ কেউই এগিয়ে আসেনি। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা এই অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।
এদিকে দুই দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা বন্ধ ছিল। ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আমীর মো. মুছা জানান, পাঁচটি বিভাগের পরীক্ষা ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু অবরোধের কারণে কোনো পরীক্ষাই নেওয়া সম্ভব হয়নি। অবরোধ প্রত্যাহার হলেও সোমবার চালককে অপহরণ করার পর থেকে বন্ধ রয়েছে শাটল ট্রেন। ফলে ভোগান্তিতে আছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তিন বছর পর চবি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলেও ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত একাংশ বিশ্ববিদ্যালয় অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করে। এ সময় তারা বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত, বিবাহিত এবং অছাত্রদের পদ বাতিল করার দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন