সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড কিংবা মালয়েশিয়ার মতো উন্নত ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর একেবারেই বিপরীত চিত্র বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে। একই ধরনের প্রোডাক্ট ও সেবা নিয়ে সমগ্র দেশে ব্যাংকিং সেবা দেয়ার প্রতিযোগিতা করছে ৫২টি বাংলাদেশি ব্যাংক। বিদেশি ৯টিসহ বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের তফসিলভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা ৬১। তারপরও সরকারের পরামর্শে প্রতিনিয়ত নতুন ব্যাংকের অনুমোদন চলমান রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের সংখ্যার দিক থেকে অনেক আগেই সমসাময়িক অর্থনীতির দেশগুলোকে ছাড়িয়েছে বাংলাদেশ। বেশি সংখ্যার এ ব্যাংক অর্থনীতিতে সম্পদ সৃষ্টি না করে উল্টো বোঝা বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব ব্যাংকের ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেন ও সেবা প্রদান করা হলেও অনেক ব্যাংকের সেবার মান নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে অসন্তুষ্টি রয়েছে। এমন একটি ব্যাংক হলো আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। সেবার নামে চলছে গ্রাহক ভোগান্তি। গ্রাহকদের একটি এটিএম কার্ড পেতে ৩ মাস অপেক্ষা করতে হয়। ব্যাংকটি কার্যত এখন সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে গেছে। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ব্যাংকটির আয় কমেছে ২৪ শতাংশ। অথচ ইচ্ছেমাফিক সুবিধা ও বেতন বাড়িয়ে নিয়েছেন এমডি-ডিএমডি। বেতন কাঠামোয় সিন্ডিকেটভুক্ত কর্মকর্তাদের বেতন মাত্রাতিরিক্ত ধার্য্য করা হলেও অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন খুবই কম। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা সংক্রান্ত নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে প্রমোশন আটকে থাকায় কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। আর তাই চরম অব্যবস্থাপনার অপর নাম যেন আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক।
সূত্র মতে, নগদ টাকা বহনে বাড়তি ঝামেলা। আছে জাল নোটের ঝক্কি। আবার ছিনতাইয়ের ভয় তো আছেই। এ ছাড়া অপরাধমূলক নানা লেনদেনও হয়ে থাকে নগদে। এসব বিবেচনায় বেশ আগে থেকে সব লেনদেন ডিজিটাল করার চেষ্টা করছে সরকার। বিশ্বের অনেক দেশ এখন ‘ক্যাশলেস সোসাইটি’তে পরিণত হয়েছে। কোন কোন দেশ নগদ লেনদেন ন্যূনতম পর্যায়ে এনেছে যা ‘লেস ক্যাশ’ হিসেবে বিবেচিত। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতও এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে। তবে বাংলাদেশও চাচ্ছে ক্যাশ লেসের দিকে যেতে। মহামারি করোনার সংক্রমণ অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করলেও ক্যাশলেস লেনদেনে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছে। আর তাই ২০২৬ সালের মধ্যে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্কের অন্তত একটি অ্যাকাউন্ট খোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। অনলাইন ব্যাংকিং, কার্ড, এমএফএসের মতো বিভিন্ন মাধ্যমে ডিজিটাল পরিশোধ আকর্ষণে নানা ছাড় এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। তাই দেশে লেনদেনের ডিজিটাল মাধ্যমগুলো বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। নানা সীমাবদ্ধতা থাকলেও ডিজিটাল লেনদেন বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল লেনদেনে গুরুত্ব দিয়েছে। তবে ডিজিটাল যুগেও এনালগ লেনদেন থেকে বের হতে পারেনি আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। যদিও সম্প্রতি ব্যাংকটি মাস্টারকার্ডের মাধ্যমে দেশে প্রথম কনটাক্টলেস ইসলামী ডেবিট ও প্রিপেইড কার্ড চালু করেছে। তবে ব্যাংকটির একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন, একটি এটিএম কার্ড পেতে উত্তরা শাখায় গত রোজার মাস থেকে অপেক্ষা করছেন। ব্যাংকে গেলেই বলা হয়, সার্ভার সমস্যায় নতুন কার্ড প্রদান করা হচ্ছে না। কয়েকদিন অপেক্ষা করেন, দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে। মো. মঈন উদ্দিন নামে এক গ্রাহক জাানান, এটিএম কার্ডের অপেক্ষায় ৩ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এখনও তিনি এটিএম কার্ড করাতে পারেন নি।
অবশ্য ব্যাংকটির কার্ড বিভাগের প্রধান সাখাওয়াত হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, এ রকম হওয়ার কথা নয়। যে শাখা থেকে সময় ক্ষেপণ করা হচ্ছে সেখানে গেলে তিনি বলে দিবেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে।
অথচ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ২০১৫ সালের ১৫ জুন ব্যাংকটি ডেবিট, ক্রেডিট ও প্রি-পেইড কার্ড চালু করে। এমনকি ব্যাংকটি ওই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম শরিয়াভিত্তিক ইসলামী কার্ড চালু করে। দীর্ঘদিন থেকেই বেশ সাফল্য ও সুনামের সঙ্গে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল ব্যাংকটি কিন্তু হঠাৎ করেই ২০১৮ সাল থেকে ছন্দপতনে পড়েছে ব্যাংকটি। বিশেষ করে ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব নেন ফরমান আর চৌধুরী। দেশের খ্যাতিমান ব্যাংকার মো. হাবিবুর রহমানের স্থলে তাকে বসানো হয়। মরহুম মো. হাবিবুর রহমানের সময়ে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকে পরিণত হয়েছিল।
এদিকে ফরমান আর চৌধুরী এমডি হিসেবে যোগদান করেই বেতন আগের থেকে ৪/৫ গুণ বাড়িয়ে ২০ লাখ টাকার বেশি বেতন নিচ্ছেন। পাশাপাশি ব্যাংকটিতে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। তার সাবেক কর্মস্থল ওয়ান ব্যাংক থেকে অতিরিক্ত বেতন-ভাতা দিয়ে বিভিন্ন পদে লোক বসানো শুরু করেন। তার নিয়োগকৃত লোক ছাড়া অন্যদের প্রমোশন, বেতন বৃদ্ধি আটকে দেয়াসহ শোষণ কার্যক্রম চালু করেছেন। এছাড়াও এমডিসহ ব্যাংকের একটি অসাধু সিন্ডিকেট ভুয়া দলিলপত্রে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। যে কারণে বড় অঙ্কের খেলাপিতে ডুবতে বসেছে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। সর্বশেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ব্যাংকের আয় কমেছে ২৪ শতাংশ। ব্যাপক দুর্নীতি ও কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে এমন সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এসব ঋণ দেয়া হয়েছে যাদের মর্টগেজ বা বন্ধকী কাগজপত্র সম্পূর্ণ জাল ও ভুয়া।
খিলক্ষেত শাখা সূত্রে জানা গেছে, একের পর এক ২০০০ কোটি, ১৭০০ কোটি, ১৪০০ কোটিসহ অসংখ্য বড় অঙ্কের ঋণ যাদের দেয়া হয়েছে, তারা আসলেই এত টাকা ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের ঋণ শাখার যেসব শীর্ষ কর্মকর্তা এসব মর্টগেজ সরেজমিনে পরিদর্শন ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার কথা, তারা নির্দিষ্ট অঙ্কের পার্সেন্টেজ পেয়ে ভুয়া এসব দলিলপত্রকে ‘জায়েজ’ করে দিয়েছেন। ফলে এসব ঋণের অধিকাংশই আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দুর্নীতিবাজ-অসৎ কর্মকর্তাদের লুটপাট ও কমিশন বাণিজ্যের কারণে অর্থনৈতিকভাবে চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছে ব্যাংকটি।
এসব ঋণ প্রদানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ছায়া এমডি হিসেবে ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) সাব্বির আহমেদ ও এসইভিপি মাহামুদুল করিম, একাধিক শাখা ব্যবস্থাপকসহ প্রধান কার্যালয়ের কতিপয় শীর্ষ কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন। মাহামুদুল করিম এমডি’র পরামর্শদাতা হিসেবে কোন কাজ ছাড়াই সার্বক্ষণিক এমডি সচিবালয়ে বসে থাকেন। দীর্ঘদিনের দক্ষ ও পরীক্ষিত নির্বাহীদের সাইড লাইনে রেখে এই দু’জনকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। অথচ তাদের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা ও দক্ষতায় যথেষ্ঠ ঘাটতি রয়েছে।
এদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক যে নির্দেশনা দিয়েছে তা এখনও বাস্তবায়ন করেনি ব্যাংকটি। নির্দেশিত বেতন-ভাতা কার্যকর না হওয়া এবং দীর্ঘদিন ধরে অনেকের প্রমোশন আটকে থাকায় ব্যাংকটির কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এপ্রিল থেকেই সব ব্যাংককে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা কার্যকর করতেও বলা হয়। নির্দেশনা জারির অল্প কিছু দিনের ভেতরেই নতুন নিয়ম অনুযায়ী অধিকাংশ ব্যাংক তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। তবে এখনও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেনি আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যাংকটির এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা রীতিমতো শোষণের শিকার হচ্ছি। ন্যায্য বেতন থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। অথচ উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা ঠিকই বেশি বেতন নিচ্ছেন। আমরা যারা নিম্ন পর্যায়ে আছি, অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় আমাদের এখানে বেতন অনেকগুণ কম। ওই কর্মকর্তা বলেন, অন্য ব্যাংকে বিভিন্ন পদের বেতন-ভাতার সঙ্গে আল-আরাফাহ ব্যাংকের বেতন-ভাতার অনেক অসঙ্গতি। এই ব্যাংকে একজন এক্সিকিউটিভ অফিসারের বেসিক বেতন ২০ হাজার আর সর্বসাকুল্যে দেয়া হচ্ছে ৪৫ হাজার টাকা। অন্যদিকে একজন এন্ট্রি লেভেলের অফিসারের বেতন ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার টাকা। অথচ অন্য ব্যাংকে একই পদবীর একজন কর্মকর্তার বেতন ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা। সেখানে প্রায় অর্ধেক বেতন দিচ্ছে আল-আরাফাহ ব্যাংক।
ব্যাংকটির বেশ কয়েকজন কর্মকতার দাবি, নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বেতন ঠিকই অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি। তারা অন্যদের বেতন-ভাতা নিয়ে চুপ করে আছেন। তাদের মাথা ব্যথা না থাকায় চলতি বছরেও পে স্কেল করা হয়নি। অথচ ২০১৮ সালের আগে প্রতি বছরের পদোন্নতি বছরের শুরুতে হয়ে যেতো। লিভ অ্যান্ড ক্যাশমেন্টসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যথাসময়ে দেয়া হতো। ইনক্রিমেন্টও যথাসময়ে হয়ে যেতো। আর গত সাড়ে ৪ বছরে মাত্র একটি ব্যাচের প্রমোশন এবং আস্থার লোকদের বছরে বছরে প্রমোশন দিয়েছেন বর্তমান এমডি।
একই সঙ্গে করোনা মহামারির মধ্যেও টপ ম্যানেজমেন্টের বিশেষ পদোন্নতি চলছে। ব্যাংকের নানামুখী অনিয়মকে যায়েজ করতে ব্যাংকের পরিচালকদের সুপারিশকৃত কিছু লোকের চাকরি দিচ্ছেন এবং নিজের পছন্দমতো লোকদের নিয়োগ দিচ্ছেন এমডি। ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে কয়েকশ জনকে গোপনে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে পরিচালকদের মধ্যেও অসন্তোষ বিরাজ করছে। কিন্তু অত্যন্ত চতুর ও কৌশলী বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিক পক্ষের মধ্যে থাকা ক্ষমতাবানদের সহজেই ম্যানেজ করে চলছেন। এমপ্লয়িদের নানা সুযোগ-সুবিধা আটকে রেখে ব্যাংকের প্রফিট বাড়ানোর কৌশল প্রয়োগ করছেন।
এদিকে গত সাড়ে চার বছরে এমডির অসহযোগিতার কারণে দুর্দিনে পড়তে যাচ্ছে ব্যাংকটি। নাসির গ্লাসসহ অনেক বড় বড় গ্রাহক অন্য ব্যাংকে চলে গেছেন। আরেক বড় শিল্প গ্রুপ প্রতিষ্ঠান বিআরবি ক্যবলসও এমডি’র ব্যবহারে নাশোখ। ব্যাংক থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া নতুন করে উল্লেখ করার মতো কোন গ্রাহক বর্তমান এমডি আনতে পারেননি। আগে যেখানে আল-আরাফাহ ব্যাংক সেরা ৭-এ পৌঁছে গিয়েছিল, কিন্তু বর্তমানে সেই অবস্থান অনেক পিছিয়েছে। ব্যাংকে এমন অবস্থা হয়েছে যে, এমডি যা বলবেন তাই নিয়ম। সাবেক গভর্নর ফজলে কবিরের দোহাই দিয়ে এমডি নিজের সুযোগ-সুবিধার সবটাই অনেক বাড়িয়ে নিয়েছেন। সাবেক গভর্নরের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল বলে এমডিকে পরিচালকরাও সমীহ করে চলতেন। করোনা মহামারির মধ্যেও তিনি প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের গাড়ি কিনেছেন নিজের জন্য। অথচ তার জন্য নির্ধারিত আগের গাড়িটি এখনও নতুন। সেটিকে চট্টগ্রামে রাখা হয়েছে বর্তমানে। বছরে ২/১ বার চট্টগ্রামে গেলে তখন তার জন্য পুরনো গাড়িটি ব্যবহার করা হয়।
এছাড়া গত ২৮ জুলাই প্রকাশিত এপ্রিল-জুন প্রান্তিকের প্রতিবেদনে ব্যাংকটির দুর্দিনের চিত্র ফুটে উঠেছে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও পরিচালকদের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ, পরিচালন আয় কমে যাওয়া, খেলাপি ঋণ ও প্রভিশনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকটি এবার লোকসানের খাতায় নাম লিখিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৮ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) ছিল ৯০ পয়সা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দেশে ব্যবসা করা ব্যাংকগুলো এখন খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। কয়েক বছর ধরে বেশকিছু ব্যাংক স্ট্রাগল করছে। ব্যাংকগুলোয় সুশাসনের অভাব দেখা দিয়েছে। এমডিদের বেতন-ভাতার ক্ষেত্রেও কোনো শৃঙ্খলা নেই। যে যেমন খুশি পারিশ্রমিক নিচ্ছে।
সার্বিক বিষয়ে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফরমান আর চৌধুরীর সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন