দিনাজপুর রেল ষ্টেশন প্লাটফরমে টিকেট দাবী করাকে টিসি (টিকেট কালেকটরেট) কেন্দ্র করে রেল কর্মকর্তাদের সাথে সংঘর্ষ ও মারপিটের ঘটনার এখনো সুরাহা হয়নি। মামলা না নেয়ায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুওে রেল কর্মচারী-কর্মকর্তারা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস অবরোধ করে। মামলা নেয়ার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নিলে এক ঘন্টার বেশী সময় পর পঞ্চগড় এক্সপ্রেস দিনাজপুর থেকে ঢাকার উদ্ধেশ্যে ছেড়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দিনাজপুর রেল ষ্টেশনের গেষ্ট হাউসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক আলী আসলাম ডিআর এম (লালমনিরহাট) ডিআরএম শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ মমতাজসহ স্থানীয় কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত রয়েছেন।তারা বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করছেন। তবে রেল কর্মচারীরা মামলা রেকর্ড না করলে নুতনভাবে ধর্মঘটসহ কর্মসূচী ঘোষনা করবেন বলে জানান।
গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় দিনাজপুর রেল ষ্টেশন প্লাটফরমের্ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শাহ নেওয়াজ প্লাটফর্মে প্রবেশ করেন। টিসি(টিকেট কালেক্টর) মিস্টার রিপন প্লাটফর্মে টিকেট দেখতে চান। টিসি রিপন জানান নিজের পরিচয় না দিয়ে তিনি বলেন তোমরা আমাকে চেন না আমি কেন। এক পর্যায়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা দলবেধে ষ্টেশনে আসেন এবং টিসি ও নিরাপত্তা কর্মীদের উপর হামলা চালায়। তাদের আঘাতে আহত হোন মুক্তিযোদ্ধা সন্ত্রান রেলের নিরাপত্তা কর্মী মাসুদসহ অন্তত ৫জন। রেলকর্মীরাও গেট আটকিয়ে মাদকদ্রব্যের কর্মকর্তাসহ অন্তত ১২ জনকে ধরে ফেলে। পরে তাদের নিরাপদ হেফাজতে জিআরটি থানায় আনা হয়। বিষয়টি স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়াা ছাড়াও উপর মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করে। ষ্টেশনে ছুটে আসেন মুক্তিযোদ্ধা দিনাজপুর কমান্ড আবুল কাশেম অরুসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা। রাতেই বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ প্লাটফরমে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে টিসি রিপন বাদী হয়ে মামলা করার এবং গ্রহন করার বিষয়ে একমত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
তবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, আমি ষ্টেশনে প্রবেশ করলেও আমার সহকর্মী টিকেট কাটার জন্য কাউন্টারে দাড়িয়ে ছিলেন। টিসিকে বলার পরও তিনি জরিমানা কাটতে উদ্যত হয়। এক পর্যায়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ছাড়া আর কিছুই হয়ণি।
কিন্ত রাত দুটোর দিকে মুচলেকা নিয়ে মাদকদ্রব্যের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছেড়ে দেয়া হলে রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। দুপুর সোয়া দুটায় পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস অবরোধ করে।
যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে রেল কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনা শুরু করেন। মামলা রেকর্ডের দাবীতে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয়া হয়। কিন্তু এর পরেই মামলা রেকর্ড নিয়ে কালক্ষেপন হতে থাকে। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত (সন্ধা সাড়ে ৬ টা) পর্যন্ত উর্ধতন কর্তপক্ষ কোন সমাধানে আসতে পারেনি। ###
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন