১লা আগস্ট সোমবার পালিত হল বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস-২০২২। ১৯৯০ সালে ইতালির ফ্লোরেন্সে ইন্নোসেনটি গবেষণা কেন্দ্রের ঘোষণার সম্মানে ১৯৯২ সাল থেকে বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ সারা বিশ্বে মায়েদের বুকের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং উৎসাহিত করতে একটি বৈশ্বিক প্রচারাভিযান। মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহর প্রথম দিন ১ আগস্টকে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করে বিভিন্ন দেশের সরকার, ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচওসহ অন্যান্য সংস্থা। ১৯৯১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সেই ঘোষণাপত্র সমর্থন করে প্রতিষ্ঠিত হয় ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর ব্রেস্টফিডিং অ্যাকশন (ডব্লিউএবিএ) নামের একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক। জাতিসংঘের দুই সংস্থাসহ সরকারি উদ্যোগে ১ থেকে ৭ আগস্ট বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশে পালিত হয় সপ্তাহটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মাতৃদুগ্ধ পানে শিশু যেমন সুস্থুসবল হয়ে বেড়ে ওঠে, তেমনি উপকৃত হন প্রসূতি নিজেও।
শুধুই মাতৃদুগ্ধ পান করালে বছরে আট লাখের বেশি শিশুর জীবন রক্ষা পাবে। যে শিশুদের বেশির ভাগেরই বয়স ছয় মাসের কম। শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর কোন বিকল্প নেই। শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ালে মা ও শিশু দুজনেরই উপকার হয়। জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ দিলে মায়ের গর্ভফুল তাড়াতাড়ি পড়ে, সহজে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়, ফলে মা রক্তস্বল্পতা থেকে রক্ষা পায়। জন্মবিরতিতে সাহায্য করে, স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সার এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। শিশুর সর্বোচ্চ শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়া হওয়ার প্রবণতা এবং এর তীব্রতার ঝুঁকি কমায়, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং কানের প্রদাহ কমায়, দাঁত ও মাড়ি গঠনে সহায়তা করাসহ অনেক উপকারিতা আছে।
মায়ের দুধ না খাওয়ালে- নিউমোনিয়াজনিত মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১৫ গুণ বৃদ্ধি পায়, ডায়রিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১১ গুণ বৃদ্ধি পায়, শিশুদের অপুষ্টি ও অন্যান্য কারণে মৃত্যুর ঝুঁঁকি প্রায় ১৪ গুণ বৃদ্ধি পায়। জন্ডিস, কানপাকা ও পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণসহ ডায়রিয়া হওয়ার আশংকা বৃদ্ধি পায়। শারীরিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধির বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয়। বয়সের তুলনায় ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়; দীর্ঘস্থায়ী রোগের (ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্থুলতা) ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষ্যে জাতীয় পুষ্টি সেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি, বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন সারাদেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে যা মাসব্যাপী পালিত হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১৪ সালে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উদ্বোধন করেন ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে।
বিশ্বে প্রতি পাঁচটি শিশুর তিনজনই জন্মের প্রথম ঘণ্টায় মাতৃদুগ্ধ পায় না। দুই বছর পর্যন্ত স্তন্যপান করাতে পারলে বছরে ৮ লাখ ২০ হাজার শিশুর জীবন বাঁচানো সম্ভব। দুগ্ধদান করে মায়েরাও জীবনসংহারী অনেক রোগ ঠেকিয়ে দিতে পারেন; সেজন্য তাদের আরও উৎসাহিত করতে বলেন চিকিৎসকরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, জন্মের প্রথম ঘণ্টাতেই নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। প্রথম ৬ মাস শুধুমাত্র বুকের দুধই খাবে শিশু, এমনকি পানিও খাওয়ানো যাবে না। এরপর পরিপূরক খাদ্যের সঙ্গে অন্তত দুই বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের দুধ চালিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’ পালিত হয়ে আসছে সেই ১৯৯২ সাল থেকে।
কিন্তু এখনও জন্মের প্রথম ছয় মাস শুধু বুকের দুধ খাওয়ানো হয় বিশ্বের মাত্র ৪১ শতাংশ শিশুকে। এই হারকে ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলি। আর আমাদের দেশে এখন হাজার হাজার মা নিজের বুকে দুধ পান করার পরিবর্তে বাজারে কৃত্রিম দুধ পান করান নিজের সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য। এতে লাভের চেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। ভবিষ্যত জীবন অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে শিশুর। মায়ের দুধ হচ্ছে শিশুর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট খাবার এবং পানীয়। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ মায়ের দ্রুত আরোগ্য লাভের ক্ষেত্রে মায়ের বুকের দুধের বিকল্প নেই। শিশুর রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ মায়ের দ্রুত আরোগ্য লাভের ক্ষেত্রে মায়ের বুকের দুধের বিকল্প নেই। আর পৃথিবীতে সম্ভবত সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়- মাতৃগর্ভ। এরচেয়ে নিরাপদ, জীবাণুমুক্ত ও আরামদায়ক স্থান সম্ভব নয়। সেখান থেকে একজন নতজাতক যখন ধুলোবালি মাখা জীবাণু সংকুল প্রথিবীতে আসে, তার নাজুক শরীর ও দুর্বল রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতার কারনে জীবন হয় ঝুঁকিপূর্ণ এই পরিবেশে একটি নিরাপত্তাবেষ্টনীর মতো তাকে সকল প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা করে মমতাময়ী মায়ের কোল ও শিশুর রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতার অসাধারণ গুনাবলী সমৃদ্ধ মাতৃদুগ্ধ। আমাদের দেশে এই ব্যাপারটি অত্যন্ত অবহেলিত- কারণ ধরেই নেয়া হয় যিনি জন্ম দিলেন তিনি তো স্তন্যদান করবেনই, এটা তাঁর একার দায়িত্ব এবং অবধারিত ব্যাপার। বিষয়টি এতো সহজ নয়, আর সে কারনেই দেখা যায় শেষ পর্যন্ত অনেক সদ্য প্রসূতীর সন্তান মার্তৃদুগ্ধ থেকে বন্চিত হচ্ছে।
মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। মায়ের দুধ শিশুর জন্য শুধুমাত্র শ্রেষ্ঠতম পুষ্টিকর ও সঠিক খাদ্য নয় বরং তা যে কোন রোগপ্রতিরোধক টিকার চেয়ে অধিক শক্তিশালী ও কার্যকর। ডায়রিয়া, ইনফ্লুয়েনঞ্জা, অটাইটিস মিডিয়া, হারপিস ইনফেকশন, শ্বাসতন্ত্রের ইনফেকশন, নেক্রোটাইজিং এন্টারোপ্যাথি ইত্যাদি রোগের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়া ছাড়াও কৃত্রিম ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। ফর্মূলা বা কৃত্রিম শিশু খাদ্যে লালিত শিশুদের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি মার্তৃদুগ্ধে লালিত শিশুর চেয়ে অনেক অনেক বেশি। এসকল রোগ শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে ব্যহত করে এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকগুন বৃদ্ধি করে।
মায়ের দুধ যে শুধু মাত্র শ্রেষ্ঠতম পুষ্টি ও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা সম্পন্ন তাই নয় বরং তা শিশুর জীবন রক্ষার সাথে সাথে সাশ্রয়ীও- শিশুখাদ্য হিসেবে মাতৃদুগ্ধ পরিবারের খরচ ও সময় দুটোর সাশ্রয় করে থাকে।
১. ব্রেস্টফিডিং বা স্তন্যদানে সবচেয়ে প্রথম এবং প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মায়ের সুস্বাস্থ্য (শারিরিক ও মানসিক দুটোই)। গর্ভবতী মায়ের দেহে বিভিন্ন হরমোনের আধিক্য দেখা যায়, বলা যায় গর্ভবতীর শরীরে চলে হরমোনের উৎসব। যার ফলে তিনি শারিরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ প্রভাবিত হন। শিশুর জন্মের পর এই প্রভাব কিছুটা কমে এলেও তিনি শারিরিক ভাবে দুর্বল এবং অনেক ক্ষেত্রে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকেন। শিশুর লালন পালনে আর সব কিছুর মতো মাতৃদুগ্ধ দানে মায়ের পাশাপাশি পিতার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশের সমাজ ব্যবস্থায় ব্যাপারটি অনেককে অবাক করলেও এটাই বাস্তবতা। শিশুকে স্তন্যদান করবেন মা আর সেই মায়ের যত্ন, তাঁর পুষ্টি, বিশ্রাম নিশ্চিত করবেন পিতা।
২.এসময় মায়ের যথাযথ খাদ্যগ্রহন ও পুষ্টি জরুরী। মায়ের পুষ্টিহীনতা মতৃদুগ্ধ উৎপাদনে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। এসময় সাধ্য অনুযায়ী তাজা শাকসবজি, ফলমূল, দুধ, ডিমসহ পুষ্টিকর খাবার গ্রহন করা জরুরী।
৩. স্তন্যাদানকারী মায়েদের হাইড্রেশন বা পর্যাপ্ত তরল ও পানিয় পান খুবই দরকার।
৪. মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুম (প্রতিদিন নুন্যতম ৮ ঘন্টা) জরুরী।
> বিশেষ খাবার:-বিভিন্ন দেশের নিজ নিজ বিশ্বাস ও ঐতিহ্যনুসারে এসময় শিশুখাদ্যের পরিমান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মায়েদের বিভিন্ন ফল, সব্জি, ভেষজ ও খাদ্য গ্রহনে উৎসাহিত করতে হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:* দুধ * কালোজিরা * লাউ * সাগুদানার পায়েস * পেঁপে * মেথী- ল্যাক্টেশন সেন্টারে ক্যাপসুলাকারে মেথী, মেথীর চা বিক্রী হয়ে থাকে।
> পজিশন:-স্তন্যদানের যথাযথ পজিশনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্নঃ-
১। ক্র্যাডেল:- সাধারন কোলে নেবার ভঙ্গীতে যে প্রচলিত পজিশনে স্তন্যদান করা হয়, তা সব চেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকর।
২। বল হোল্ডিং:- সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেবার পর প্রচলিত পদ্ধতি বা ক্র্যাডেল পজিশনে স্তন্যদান অনেক ক্ষেত্রে মায়ের জন্য কষ্টকর, মাঝে মাঝে প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠে। এক্ষেত্রে “বল হোল্ডিং” অত্যন্ত কার্যকর। একটি বলকে পাশে একহাতে ধরার মতো করে শিশুকে স্তন্যদান করায় মায়ের তলপেট বা সিজিরয়িান সেকশনের ক্ষতস্থানে শিশুর ভার পড়েনা, ফলে স্তন্যদান মা ও শিশু উভয়ের জন্য সহজ হয়।
৩। ক্রস ক্র্যাডেল:- প্রিম্যাচিউর শিশুর ক্ষেত্রে অধিক সহায়ক।
৪। লাইং বা শায়িত:- মায়েদের জন্য কিছুটা রিল্যাক্সিং হলেও শিশুর জন্য অনেক ক্ষেত্রেই বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
> কর্মজীবি মায়েদের জন্য: আন্তরিক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মাতৃত্বকালীন ছুটি শেষে কাজে ফেরার পর অনেক মায়েরা সন্তানকে কৃত্রিম খাবার বা বেবিফুড, গরুর দুধ বা পাউডার দুধের আশ্রয় নিতে হয়, যা মোটেও কাম্য নয়। এ সমস্যা সমাধানে কর্মজীবি মায়েদের জন্য প্রায় বন্ধু সম একটি যন্ত্র “ব্রেস্ট পাম্প। কাজের সময় শিশুকে স্তন্য দান সম্ভব না হলে তাঁরা এই পাম্পের সাহায্যে মতৃদুগ্ধ সংগ্রহ করে তা যথাযথ উপায়ে সংরক্ষণ করতে পারেন। যা তাঁদের অনুপস্থিতিতে পরিবারের অন্য কেউ শিশুকে খাওয়াতে পারেন। ফলে মায়ের অনুপস্থিতিতেও শিশুটি মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা থেকে বঞ্চিত হয়না। নতুন মায়েদের ক্ষেত্রে স্তন্যদানের শুরুতেও ব্রেস্টপাম্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্রেস্ট পাম্প বিভিন্ন দামের আছে তবে ইলেক্ট্রিক পাম্প সবচেয়ে কার্যকর ও কিছুটা ব্যয়বহুল।
> পোশাক:- স্তন্যদানের উপযোগী আরামদায়ক ও স্বস্তিকর পোশাক মায়েদের জন্য জরুরী। এবিষয়েও ল্যাক্টেশন সেন্টার সহায়তা করে থাকে।
> প্রস্তুতি:- একজন পুরুষের কাছে স্তন্যদান যতোখানি অপরিচিত ব্যাপার, প্রথমবার সন্তানলাভ করা মায়ের কাছেও অনেকটা তেমনি। তাই, গর্ভবতী অবস্থা থেকে এব্যাপারে মানসিক প্রস্তুতি জরুরী। পরিবারের মুরুব্বী এবং স্বামী উৎসাহ দান করে এই প্রস্তুতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন।
> আধুনিকতা ও স্তন্যদান:
সময়ের সাথে সাথে মানুষ যতো আধুনিক ও শিক্ষিত হচ্ছে উন্নত বিশ্বের মায়েরা ফিরে যাচ্ছেন ব্রেস্ট ফিডিং বা স্তন্যদানে। শিক্ষা, মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা এবং শিশুর জন্য এর গুরুত্ব অনুধাবন তাঁদের এবিষয়ে উৎসাহিত করছে। হাজারও ব্যস্ততার মাঝে শিশু সন্তানকে মাতৃদুদ্ধ থেকে বঞ্চিত করছেননা। স্তন্যদানে অন্যতম সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, মা ও শিশুর মানসিক নৈকট্য বা বন্ধন দৃঢ় করায়, এর কোন বিকল্প নেই।
পরিশেষে বলতে চাই , সর্বোপরি শিশুকে মায়ের বুকের দুধ পান করালে শিশু ও মায়ের মধ্যে এমন একটি মানসিক বন্ধন তৈরি হয়, যা চিরস্থায়ী। মুসলিম উম্মাহর সব শিশুর মায়েদের উচিত কুরআনের হুকুম অনুযায়ী তাঁর সন্তানকে পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করানো। পূর্ণ দু’বছর দুধ পান করানোর পর প্রয়োজনে অতিরিক্ত আরো ছয় মাস শিশুকে দুধ পান করানো যেতে পারে। মায়ের দুধ মহান আল্লাহর একটি বিশেষ নিয়ামত।
আজকের শিশু আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যত। শিশুদের শারীরিক মানসিক বিকাশের জন্য মায়ের বুকের দুধ খাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। এটা শিশুর জন্য মায়ের কাছে অধিকার বা প্রাপ্য রয়েছে।
মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
প্রতিষ্ঠাতা, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।
ইমেইল: drmazed96@gmail.com
মোবাইল: ০১৮২২৮৬৯৩৮৯
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন