শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে ঘর ভাঙচুর পায়ে ধরার পরও রক্ষা পায়নি বৃদ্ধ

ঈশ্বরগঞ্জ(ময়মনসিংহ)উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০২২, ৬:০৩ পিএম

ময়মনসিংহের নান্দাইলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে দোকানঘর ভাঙচুর করে জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হামলার একটি ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। সেই ভিডিওতে দেখা যায় এক বৃদ্ধ ঘটনার সময় হামলাকারীদের হাত থেকে দোকান ঘর ভাঙা রক্ষা করতে গিয়ে পায়ে ধরেও শেষ রক্ষা পায়নি।


জানা যায়, উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের উত্তর জাহাঙ্গীপুর গ্রামের সিডস্টোর চৌরাস্তা এলাকায় আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দোকান ঘর মালিক মো. আব্দুস সাত্তার (৬৫)। তিনি জানান, দোকান ঘরটি তার পৈত্রিক জমির ওপর নির্মিত। তিনি ১৯৮৪ সালের বিআরএস জরিপ দেখিয়ে বলেন, এই জমি পুকুর শ্রেণির। তিনি পুকুরের পাড় ভরাট করে তাতে দোকানঘর নির্মাণ করে ১৫ বছর যাবৎ ভাড়ায় খাটাচ্ছেন। মজিদ আরও বলেন, সিডস্টোর চৌরাস্তা থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরের বাসিন্দা পারভেজ মিয়া ও এবাদুল হকের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র হামলাকারী গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করে হামলা চালিয়ে তাঁর দোকানঘরটি ভাঙচুর করতে শুরু করে। তিনি উপায় না দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ নম্বরে ফোন করেন। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক পর পুলিশ সিডস্টোরে এসে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে। পুলিশ চলে যাওয়ার পর হামলাকারীরা আবার হামলা চালিয়ে দোকানঘরটি ভেঙে চুরমার করে দেয়। আবারও ৯৯৯ এ ফোন করে সহায়তা চাইলে নান্দাইল মডেল থানা-পুলিশ তাঁর প্রতি চরম বিরক্ত হয়। দুই বার ফোন করেও তিনি দোকান ঘরটি ভাঙচুরের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেননি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানার জন্য এবাদুল হককে পাওয়া যায়নি। তবে এবাদুলের ভাই পারভেজ মিয়ার মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন দোকান ঘরটি তাঁদের জমির ওপর ছিল। এ কারণে তাঁরা সেখানে গিয়ে দোকানঘরটি ভেঙে ফেলেছেন। বৃদ্ধকে তিনি লাঞ্ছিত করেননি। বরং বৃদ্ধ তাঁদের ওপর হামলা করতে চেয়েছিল।

নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, বিষয়টি ছিল জমিজমার মালিকানা নিয়ে সমস্যা। তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলেন। যারা দোকান ভাঙচুর করেছে তাঁদের পক্ষে আদালতে রায় ছিল বলে পুলিশকে জানানো হয়েছে। আপনি কি নিজে রায় দেখেছেন প্রশ্ন করলে তিনি প্রসঙ্গ পাল্টে বলেন, জমি নিয়ে দুপক্ষের দ্বন্দ্ব দেখা দিলে পুলিশ প্রথমে মীমাংসার চেষ্টা করে। ব্যর্থ হলে আদালতে যেতে বলে। এ ঘটনায় দুপক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে। এসময় তিনি বলেন, দোকান ঘর ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন