পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে খুলনার সব সেক্টরে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। আরেক দফা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির আশংকায় রয়েছেন তারা।
রাতে মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার সাথে সাথেই সমগ্র খুলনার শতকরা ৯০ ভাগ পেট্রোল পাম্ব বন্ধ রাখা হয়। শত শত মোটর সাইকেল ও যানবাহন এ পাম্প সে পাম্প ঘুরে খোলা থাকা হাতে গোনা কয়েকটি পাম্পে ভিড় করে। নগরীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় পেট্রোলপাম্পে বিশৃংখলা দেখা দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। আজ শনিবার ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, সব পেট্রোলপাম্পেই আগের দামে কেনা জ্বালানী তেল মজুদ রয়েছে। অথচ নতুন দামে তা বিক্রি করা হচ্ছে। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবেই পাম্পমালিকদের মুনাফা করার সুযোগ করে দিয়েছে।
জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে খুলনার পরিবহন সেক্টরে ভারা নিয়ে নৈরাজ্য শুরু করে দিয়েছে পরিবহন মালিম ও শ্রমিকরা। সোনাডাঙ্গা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া সুন্দরবন পরিবহনের লাইনম্যান সুুজিত জানান, ঢাকা যেতে ও আসতে ১২০ লিটার তেলের প্রয়োজন হয়। ৪ হাজার টাকার বেশী তেল প্রয়োজন হবে। এ কারণে ৫০০ টাকার ভাড়া ৬৫০ টাকা রাখা হচ্ছে বলে তিনি জানান। বিভিন্ন রুটে এসি ও নন এসি পরিবহনে প্রতি যাত্রীর কাছ থেকে আসন বাবদ ১০০ থেকে দেড়শ’ টাকা বেশী নেওয়া হচ্ছে। খুলনা থেকে পাইকগাছা রুটের ভাড়া ১০০ টাকার স্থলে ১৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। খুলনা থেকে ঝিনাইদহ ১৮০ টাকার স্থলে ২৫০ টাকা রাখা হচ্ছে। বেশ কিছু রুটে গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে মালিক পক্ষ।
বাজারে এক রাতেই তরিতরকারীসহ সব পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তরিতরকারি কেজি প্রতি ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম আরও বাড়বে বলে তারা জানিয়েছেন।
এদিকে, অস্বাভাবিকভাবে জ্বালানী তেলের দাম বাড়ানোকে সরকারের দেউলিয়াত্বের প্রকাশ বলছেন খুলনার বিএনপি নেতারা। জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান বলেন, মেগা প্রজেক্টের নামে এ সরকার দেশকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। সরকারের খামখেয়ালিপনা ও লুটপটের মাসুল দিচ্ছে এখন জনগণ। গণবিষ্ফোরণে এ সরকার গদিচ্যুত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন