শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

পাম্পে তেল বিক্রি বন্ধ, ফিলিং স্টেশনে হট্টগোল উত্তেজনা

জ্বালানী তেলের মূল্য হঠাৎ বৃদ্ধির ঘোষণায়

ফুলবাড়ী(দিনাজপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২২, ৪:৪৭ পিএম

হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সংবাদে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পেট্রোল পাম্পগুলোতে তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়। পূর্বের দামে তেল সংগ্রহ করার আশায় পেট্রোল পাম্পগুলোর সামনে শত শত মোটরসাইকেল নিয়ে ভিড় করেন ক্রেতারা। এ সময় ফিলিং স্টেশনে ক্রেতাদের হট্টগোল ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে তেলের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিশ্ববাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করতে ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, শুক্রবার (৫ আগষ্ট) দিবাগত রাত ১২টা থেকে জ্বালানি তেলের বর্ধিত দাম কার্যকর হবার কথা বলা হয়। কিন্তু সন্ধার পর থেকেই শহরের প্রতিটি তেলের পাম্পে পর্যাপ্ত জ্বালানি তেল থাকলেও মালিকরা বাড়তি লাভের আশায় তেল বিক্রি বন্ধ রাখেন। এদিকে একই কারণে পাম্পগুলোতে শুক্রবার রাত ১২ টার পূর্বেই বাইক, বাস, ট্রাক চালকদের ভিড় জমতে শুরু করে । তবে দীর্ঘ সময় এই পাম্প ও পাম্প ঘুরেও মেলেনি জ্বালানি তেল। এতে ভোগান্তি ও হট্টগোল শুরু হয় পেট্রোলপাম্পগুলোতে।
অপরদিকে সন্ধারপর থেকে ফুলবাড়ীর ৮টি পেট্রোলপাম্প বন্ধ থাকলেও উপজেলার ফুলবাড়ী ফিলিং স্টেশন নামের একটি পেট্রোলপাম্প থেকে স্বল্প পরিমাণের পেট্রোল ও ডিজেল সরবরাহ করা হচ্ছিল। এরই এক পর্যায়ে ওই পেট্রোলপাম্পে কে আগে কে পরে এক্সট্রা জার্কিনে তেল নিবে তা নিয়ে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এমনি পরিস্থিতিতে তেল সরবরাহ বন্ধ করে পাম্পের ম্যানেজার লিটন সটকে পড়ার চেষ্টা করেন। এসময় পৌর কাউন্সিলার আব্দুর জব্বার মাসুদ ও হারান দত্ত এখবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিয়াজ উদ্দিন ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশ্রাফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছালে পরিস্থিতি স্বাভাভিক হয়।
এসময় তেল নিতে আশা ভুক্তভোগী মো. মিঠু, পিন্স বাবু, মিন্টুসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, খবর পেয়ে পাম্পে এসে দেখি তারা তেল সরবরাহ করছেন না। এ পাম্প ওই পাম্প ঘুরে সব বন্ধ পাওয়া যায়। তারা একইসাথে বলেন, সব পাম্প খোলা থাকলে কোন সমস্যা তৈরী হতো না। পরবর্তী সময়ে উপজেলা প্রশাসনের তদরকির মাধ্যমে অন্যান্য পেট্রোলপাম্পগুলো খুলে দেয়া হয় এবং পূর্ব নির্ধারিত দামেই রাত প্রায় ২টা পর্যন্ত গ্রাহকরা তাদের মোটরসাইকেল, কার, মাইক্রো, বাস, ট্রাকে তেল সংগ্রহ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন