জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পর গত শুক্রবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষোভ করছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষভাবে মোটরসাইকেল চালকরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, এ ধরনের মূল্য বৃদ্ধির কারনে তারা অসহায় হয়ে পড়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধিসহ নানা অজুহাতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে।
গতকাল শনিবার শ্যামলীতে একটি মিছিল থেকে পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এ অবস্থায় আগ্রাসীভাবে নয়, বরং সব দিক বিবেচনায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ‘ধৈর্য ধরে’ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের সদস্য, সব বিভাগের উপ-কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেন কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। মোবাইলে এসএমএস এবং ওয়ারলেসে পাঠানো হয় এ সংক্রান্ত বার্তা।
ডিএমপির একাধিক উপ-কমিশনার ও থানার ওসি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ডিএমপির সদস্যদের ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে। কেউ আইন হাতে তুলে নিয়ে ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগ না করলে পুলিশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।
শুক্রবার রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল ১৩০ টাকা হবে। এরপর থেকে নতুন দামে জ্বালানি তেল বিক্রি হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন