কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরায় মেহেদীর রং মুছে না যেতেই ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি (২০) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে! তবে নিহতের পরিবারের দাবি যৌতুক না পেয়ে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন বৃষ্টিকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। শনিবার দুপুরে বাঙ্গরা বাজার থানাধীন রাজা চাপিতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাজা চাপিতলা গ্রামের হুমায়ুন কবীরের ছেলে খাইরুল ইসলাম বাবুর (২৫) সাথে মাত্র দেড় মাস পূর্বে মুরাদনগর সদর ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাউল্লাহ গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে ফাতেমা আক্তার বৃষ্টির পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্য স্বামীসহ শ^শুর বাড়ির লোকজন বৃষ্টিকে প্রায়ই মারধরসহ বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।
নিহতের বাবা ফরিদ মিয়া অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করে নিহত বৃষ্টির শ^শুর বাড়ির লোকজন আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। বৃষ্টি যৌতুকের বলি হয়েছে। চাহিদা মতো যৌতুক দিতে পারলে হয়তো বৃষ্টির এ অবস্থা হতো না। কিন্তু আমরা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ দেখিনি। বৃষ্টির শরীরে ও গলায় অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বৃষ্টির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন