ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি হওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারী বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। প্রতিকেজি কাঁচামরিচ পোর্ট অভ্যন্তরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে।
দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর হিলি বন্দর দিয়ে গত শনিবার থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়। কাঁচা মরিচ আমদানি হওয়ার পর থেকেই বন্দরের বাজারে কিছুটা দাম কমতে শুরু করেছে। ২ দিনে হিলি বন্দর দিয়ে ১৬ টি ট্রাকে ১০৪ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। এ সব কাঁচা মরিচ আমদানি করছেন হিলি শিপিং ট্রেডার্স ও সততা বাণিজ্যলায় নামের দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভারতের বিহার থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করা হচ্ছে। গত ২ দিনের আমদানিতেই কেজিতে কমেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে আবারো ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। হিলি স্থলবন্দরে দুই আমদানিকারক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাঁচা মরিচ আমদানি করছে। এতে হিলি বাজারে দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ পাইকারী ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এখান থেকে মরিচ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছে পাইকাররা। ভারতীয় কাঁচা মরিচ আমদানির কারণে বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমে মরিচ বিক্রি হচ্ছে।
হিলি বন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক ও পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, ভারতের বিহার রাজ্যে থেকে আমদানি করা এসব কাঁচা মরিচ প্রতি মেট্রিক টনের এলসি ভ্যালু দেখানো হয়েছে ১৫০ থেকে ২শ’ মার্কিন ডলার। তবে কাস্টমসে শুল্কায়ন হচ্ছে প্রতি মেট্রিক টন ৫শ’ মার্কিন ডলারে। এর ফলে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ আমদানিতে ব্যবসায়ীদের শুল্ক গুনতে হচ্ছে ২৮ টাকা।
আমদানিকারক বাবলু বলেন, সরকারি শুল্ক কম হলে এবং এলসি ভ্যালু ডলারে কাস্টমসে শুল্কায়ন করা হলে দাম আরও কমবে। আমদানি সহ সব খরচ দিয়ে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ দেশে এনে খালাস করতে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা খরচ পড়ছে। অল্প লাভেই কাঁচামরিচ বিক্রি করা হচ্ছে। আগামীতে আমদানি বেশি হলে মরিচের দাম ততোই কমতে থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন