প্রয়োজনের অতিরিক্ত লোক নিয়োগ দেওয়ায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে অস্থায়ী নিয়োগ পাওয়া ৭৭৭ জন কর্মীর জুলাই মাসের বেতন স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। অস্থায়ী ৭৭৭ জন কর্মীর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে চলছে যাচাই-বাছাই। আর এ নিয়ে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর হাতে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়া এসব কর্মীরা ছাঁটাই আতঙ্কে পড়েছেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচনে বিএনপির বহিস্কৃত নেতা মনিরুল হক সাক্কুকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের আরফানুল হক রিফাত। তিনি গত ৭ জুলাই মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের এক মাসের মাথায় সিটি করপোরেশনের দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে অস্থায়ী নিয়োগ পাওয়া ৭৭৭ জন কর্মীর বিষয়ে নগর ভবনের এ সিদ্ধান্ত আসে।
এ বিষয়ে মেয়র আরফানুল হক রিফাত বলেন, সাবেক মেয়র সাক্কু প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি অস্থায়ী লোকবল নিয়োগ দিয়েছেন। সিটি করপোরেশনের স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীর চেয়ে নয় গুণের বেশি দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক কর্মী। এটা মেনে নেওয়া যায় না। অন্য কোথাও এমন পরিস্থিতি নেই। অস্থায়ী কর্মীদের বেশিরভাগেরই কাজ নেই। এতে সিটি করপোরেশনের বিপুল অঙ্কের টাকা বেতন দিতে হচ্ছে। তাই এসব কর্মীর জুলাই মাসের বেতন সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি। তালিকা করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোক রাখব। প্রয়োজনীয়তা না থাকলে অন্যরা বাদ যাবেন।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ৮৩ জন। তাদের প্রতি মাসে ৪৪ লাখ ২৭ হাজার ৫৫ টাকা বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে। অস্থায়ী ৭৭৭জন কর্মী আগে জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে দৈনিক বেতন পেতেন। চলতি বছরের মে মাসে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ মূহুর্তে মনিরুল হক সাক্কু তাদের হাজিরা ৩৫০ টাকা করেন। তাদের পেছনে সিটি করপোরেশনের খরচ প্রতি মাসে ৭২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯০ টাকা। কুমিল্লা সিটির অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী ৫৯০টি পদ সৃজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭৯ জনকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে লোকবল সঙ্কট দূর হয়ে স্থায়ী জনবল বাড়বে এবং দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কর্মীর সংখ্যা কমবে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন