শরীয়তপুরে দু’পক্ষের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আব্দুল ওয়াহিদুজ্জামান খান নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আর ওই ঘটনায় ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের আবুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত ওই ব্যক্তি মাদারীপুর বঙ্গবন্ধু ল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
চিকন্দি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য আলমাছ খান ও সাবেক সদস্য তমিজ খানের সমর্থকদের মধ্য এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত ওয়াহিদুজ্জামান সাবেক ইউপি সদস্য তমিজ খানের ভাতিজা। তবে দু’পক্ষই স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তমিজ খানের গ্রুপে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচ্চু সরদার ও আলমাছ খানের গ্রুপে রয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন খান ও তার ভাই স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ফরহাদ হোসেন খান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আলমাছ খান ও তমিজ খান গ্রুপের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। ওই গ্রুপের সাথে জরিয়ে পরেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচ্চু সরদার ও সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন খান তার ভাই সেচ্ছাসেবক লীগের জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হেসেন খান।
চিকন্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচ্চু সরদার বলেন, আলমাছ খান, আক্তার ও তার ভাই ফরহাদ খান এলাকায় একক আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। তারা আমাদের বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করতে ছিল। আজ তাদের সমর্থকরা আমাদের সমর্থক ওয়াহিদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। চিকন্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন বলেন, আমি আইনজীবী। রাজনীতি করলেও এলাকার মারামারির ঘটনায় জড়িত নই। সংঘর্ষ ও হত্যাকান্ডের বিষয়ে জানতে চিকন্দি ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আলমাছ খান ও সাবেক সদস্য তমিজ খানকে ফোন করা হলে তারা ফোন ধরেননি।
শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ১০-১২ জন আহত হয়েছে। এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত এই ঘটনায় কোন মামলা হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন