ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পূর্ব প্রান্তে বিষখালী দক্ষিন দিকে পোনা নদী পশ্চিমে কচানদী। পূর্বে মঠবাড়ি ও বড়ইয়া দক্ষিনে পশ্চিমে গালুয়া, সাতুরিয়া,এবং রাজাপুর উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও গ্রামগুলো ণদী, খাল দ্বারা বেস্টিত। ফলে উপজেলার ৫৪ টি গ্রামে দক্ষিনের হাওয়া ও ভরাকাটাল এবং গত ২ দিন যাবত মৌসুমী ভারিবর্ষন ও বঙ্গোপসাগরে নিন্মচাপের প্রভাবে ফলে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় এক"শ সেঃমিঃ থেকে ১"শ"২৫ সেঃ মিঃ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।এর পানির জলাবদ্ধতা উপজেলার সর্বত্র নিম্নান্ঞ্চন এলাকা।এ ছাড়া বিষখালী, পোনা নদী, কচানদীর তীরবর্তী অন্ঞ্চলের বাগানবাড়ি কাচারাস্তা, পুকুর, মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে রাজাপুর, বড়ইয়া, সাতুরিয়া, মঠবাড়ি ইউনিয়নের নদীরতীরবর্তী সহ শহরের নিচু বাগানবাড়িতে ।বড়ইয়া চেয়্যারম্যান মোঃ শাহাবদ্দিন সুরু মিয়া বলেন- আমাদের এলাকা ৯ টি গ্রামের ফসলের ক্ষেত, মাছের ঘের, পথঘাট, বাগানবাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে,স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় ৩/৪ ফুট পানি গত ২ দিনে জোয়ারের কারনে বৃদ্ধি হয়েছে।মঠবাড়ি চেয়্যারম্যান মোঃ জালাল বলেন- মঠবাড়ি,মানকি, সুন্দর,পুখরীজনা, নাপিতের হাট এলাকা বিষখালীনদীর তীরবর্তী গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।ধানের ক্ষেত ও বীজ তলা তলিয়ে গেছে।সাতুরিয়া চেয়্যারম্যানমোঃ সৈয়দ মাইনুল হক বলেন- পোনা নদী ও কচা নদীতে পানি বৃদ্ধিতে ও ভারি বর্ষনে আমার বাড়ির পুকুর তলিয়েছে, আগাম খবরে নেট দিয়ে রেখেছি, তবে আমন বীজ তলা, ফসলের বীজ তরা ও ক্ষেত
পানিতে তলিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে রাজাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন - গতকাল তিন নম্বর সিগনাল ছিল,এখন পর্যন্ত কোন সিগনাল পাইনি।রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আমাদের রাজাপুরের ৬ টি ইউনিয়নে ৫৪ ওয়ার্ডে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত তলিয়েছে। রাজাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিয়াজ উল্লাহ বাহাদুর বলেন - মৌসুমী আবহাওয়া ও বর্ষনের ফলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে । উপজেলার আমন বীজতলা ৭" শ হেক্টর বীজ তলার ৪০% তলিয়েছে, ২/১ দিনের মধ্যে পানি কমে গেলে তেমন ক্ষতি হবে না,আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি ও পরামর্শ দিচ্ছি।কৃষকরা বলেছেন-বীজতলা ডুবে গেছে,আমন বীজ তলা ক্ষতি আগের গোনে হয়েছে,এবার নতুন করে আমন বীজতলা তৈরী করেছি এর মধ্যে আবার বীজ তলা পানিতে তলিয়েছে।এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন