শেরপুরে কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর এক মামলায় টুটুল মিয়া (২৮) নামে এক যুবকের ৪৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। ১১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান একমাত্র আসামির অনুপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন। টুটুল সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা গ্রামের মো. দিলহাস উদ্দিনের ছেলে।
রায়ে আসামিকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন (৩০ বছর) সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং অপহরণের দায়ে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। তবে উভয় সাজা একইসাথে চলবে।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, ২০২০ সালের ১২ মে সদর উপজেলার রঘুনাথপুর শোলারচর গ্রামের কৃষক পরিবারের মেয়ে ও পার্শ্ববর্তী ভীমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কিশোরী নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে স্থানীয় নাওভাঙ্গা ব্রিজ থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে একটি সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যায় পাশর্^বর্তী এলাকার টুটুল মিয়া। ওই ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ১৪ মে টুটুল মিয়া এবং তার এক ছোটভাই ও মা-বাবাসহ ৪ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পরদিন অপহৃতা কিশোরীসহ গ্রেফতার হয় টুটুল মিয়া। তদন্ত শেষে একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর একমাত্র টুটুল মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে থানা পুলিশ। পরবর্তীতে জামিনে গিয়ে পলাতক হয় টুটুল। বিচারিক পর্যায়ে বাদী, ভিকটিম ও চিকিৎসকসহ ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন