যাদের রক্তের গ্রুপ ও তাদের জন্য সুখবর রয়েছে। গবেষণা বলছে ও রক্তের গ্রুপের মানুষের করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি কম থাকে। তবে এর কারণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত নন। কেউ কেউ মনে করেন অন্যান্য রক্তের গ্রুপের লোকজনের উচ্চমাত্রায় কোলস্টেরল থাকতে পারে এবং বেশি পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা রক্ত জমাট বাঁধার সাথে সংযুক্ত। ও রক্তের গ্রæপের তুলনায় এ, বি, এবি রক্তের গ্রুপের মানুষের মধ্যে পাকস্থলির ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে। বিশেষ করে যাদের রক্তের গ্রুপ এ তাদের পাকস্থলির ক্যান্সার বেশি হয়ে থাকে। গবেষকরা মনে করেন এটি হতে পারে এ টাইপের রক্তের গ্রুপের মানুষের হ্যালিকোব্যাকটর পাইলোরি সংক্রমণ বেশি ঘটে থাকে। এই ব্যাকটেরিয়া পাকস্থলিতে পাওয়া যায়। এটি প্রদাহ এবং আলসার সৃষ্টি করে থাকে। যাদের অধিক পরিমাণে আলসার হয় অথবা ভালো হয় না তাদের ক্ষেত্রে রক্তের হ্যালিকোব্যাকটর পাইলোরি পরীক্ষা অবশ্যই করে নিতে হবে।
অন্যান্য রক্তের গ্রুপের তুলনায় যাদের রক্তের গ্রুপ এবি তাদের ক্ষেত্রে মেমোরি সমস্যা বেশি দেখা দিতে পারে। একটি ছোট সমীক্ষায় এ ধরনের তথ্য উঠে এসেছে। যাদের রক্তের গ্রুপ এ, বি অথবা এবি তাদের ক্ষেত্রে অগ্নাশয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি থাকে। এ এবং বি রক্তের গ্রæপের লেহিত রক্ত কণিকার কিছু অণু হ্যালিকোব্যাকটর পাইলোরি নামক ব্যাকটেরিয়াকে সাহায্য করে থাকে অন্ত্রে বেড়ে উঠার জন্য। এর ফলে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই বলে যে ক্যান্সার হবেই এমন কথা বলা যাবে না। মানসিক চাপ বা স্ট্রেস আপনার শরীরে কটিসল হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। যাদের রক্তের গ্রæপ এ তাদের কর্টিসলের পরিমাণ বেশি থাকে। কর্টিসলের পরিমাণ বেশি থাকলে মানসিক চাপ বা স্ট্রেস কমানো কঠিন হয়ে যায়। তাই আপনাকে কঠিন সময় অতিবাহিত করতে হবে স্ট্রেসযুক্ত অবস্থা থেকে পরিত্রাণ লাভ করার জন্য।
যাদের রক্তের গ্রæপ ও তাদের ম্যালেরিয়া রোগ হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। আপনার ম্যালেরিয়া হতে পারে যখন কোনো সংক্রমিত মশা আপনাকে কামড় দেয়। যে প্যারাসাইটটির কারণে ম্যালেরিয়া রোগ হয়ে থাকে সেটি একটি কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয় নিজেকে সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে বিশেষ করে যাদের রক্তের গ্রুপ ও। যাদের রক্তের গ্রুপ ও তাদের ক্ষেত্রে পেপটিক আলসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তার মানে এই নয় যে অন্য রক্তের গ্রæপের লোকদের আলসার হবে না।
রক্তে জমাট বাঁধার ক্ষেত্রে থ্রম্বোএম্বোলিজম বলতে বুঝায় যখন পায়ের গভীর শিরায় রক্ত জমাট বাঁধে। এই জমাটবাঁধা রক্ত ভাগ্য খারাপ হলে কখনো কখনো ফুসফুসে চলে যেতে পারে। গবেষণা বলছে যাদের রক্তের গ্রুপ এ, বি এবং এবি তাদের ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা থ্রম্বোএম্বোলিজমের ঝুঁকি বেশি থাকে।
যাদের রক্তের গ্রæপ ও তাদের ক্ষেত্রে বেশিদিন বেঁচে থাকার সুযোগ থাকে। কিন্তু তাই বলে বেশি দিন বাঁচবে এমন কথা বলা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন হার্টের রোগ এবং হৃদপিন্ডের রক্তনালীর রোগের ঝুঁকি কম থাকা অনেকগুলো কারণের একটি হতে পাওে ও রক্তের গ্রæপের মানুষের বেশি দিন বেঁচে থাকার কারণ। যাদের রক্তের গ্রæপ এ এবং বি তাদের ক্ষেত্রে টাইপ-২ ডায়বেটিস বেশি হতে পারে। তবে এর কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে গবেষণা অব্যহত রয়েছে। যাদের রক্তের গ্রæপ এবি তাদের ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে এ কথা ভুলে গেলে চলবে না- অন্য যে কোনো রক্তের গ্রæপের মানুষেরও বিভিন্ন কারণে ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার থাকতে পারে।
উপরোক্ত বিষয়গুলো বিভিন্ন জরিপ এবং গবেষণার ভিত্তিতে করা হয়েছে। কিছু বিষয়ে গবেষণা এখনো অব্যাহত রয়েছে। তবে রক্তের গ্রæপ দেখে মানুষ অধিকতর সচেতন হতে পারবে এবং নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যতœবান হবে।
ইমপ্রেস ওরাল কেয়ার
বর্ণমালা সড়ক, ইব্রাহিমপুর, ঢাকা।
মোবাইল ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল dr.faruqu@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন