শেরপুরে কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে টুটুল মিয়া নামে এক যুবকের ৪৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
গতকাল দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান একমাত্র আসামির অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। টুটুল মিয়া সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা গ্রামের মো. দিলহাস উদ্দিনের ছেলে।
কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে আসামি টুটুলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং অপহরণের দায়ে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডদেন আদালত। উভয় সাজা একসঙ্গে চলমান থাকবে।
পিপি এ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু জানান, ২০২০ সালের ১২ মে সদর উপজেলার রঘুনাথপুর শোলারচর গ্রামের কৃষক পরিবারের মেয়ে ও পার্শ্ববর্তী ভীমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কিশোরী নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে স্থানীয় নাওভাঙ্গা ব্রিজ থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে একটি সিএনজিতে উঠিয়ে নিয়ে যায় পাশর্^বর্তী এলাকার টুটুল মিয়া। ওই ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ১৪ মে টুটুল মিয়া এবং তার এক ছোটভাই ও মা-বাবাসহ ৪ জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পরদিন অপহৃতা কিশোরীসহ গ্রেফতার হন টুটুল মিয়া। তদন্ত শেষে একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর একমাত্র টুটুল মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে থানা পুলিশ। পরবর্তীতে জামিনে গিয়ে পলাতক হয় টুটুল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন